সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে হাবিপ্রবির প্রধান ফটক ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় তাঁরা ১ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করে। এসময় তাঁরা বক্তব্য রাখেন এবং ' চাইতে গেলাম অধিকার,হয়ে গেলাম রাজাকার, তুমি কে? আমি কে?, রাজাকার, রাজকার, কুমিল্লায় হামলা কেন?, জবাব চাই, জবাব চাই, চট্টগ্রামে হামলা কেন? জবাব চাই, জবাব চাই, 'মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পুরো ঢাকা -দিনাজপুর মহাসড়ক। এসময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেট থেকে শুরু করে ১ নং গেট এবং ডিভিএম গেট প্রদক্ষিণ করে।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, কোটাধারীরা যদি মেধাবী হয়ে থাকে তাহলে আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করুক। কারণ তাঁরা দাবি করেছেন তাঁরা মেধাবী। আর আমরা যদি রাজাকার হয়ে থাকি তাহলে বাংলাদেশের সবাই রাজাকার। মুক্তিযোদ্ধাদের কতজন এখন বেঁচে আছেন।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা থামবো না। রাজপথ আমাদের। আমাদের ভাই যখন রক্ত দিয়েছে, আমরা আরও রক্ত দিতে প্রস্তুত। এটা কুমিল্লা, দিনাজপুর প্রশ্ন না এটা পুরো দেশের ছাত্র সমাজের প্রশ্ন। পুরো দেশের ছাত্র সমাজের যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন।
উল্লেখ্য, রোববার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্যে ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা কোটা পাবে না, তো কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’ এমন প্রশ্ন রাখেন। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে মুখর হতে দেখা যায়।