রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে সোহরাওয়ার্দী হলে ডেকে নিয়ে মারধর ও শিবির আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকির অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে অভিযুক্ত হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম ও যুগ্ম সম্পাদক সোলাইমানের ছাত্রত্ব বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ও হল প্রশাসন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম ও যুগ্ম সম্পাদক সোলাইমান বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে রুমে ডেকে নিয়ে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
ওই শিক্ষার্থী দাবি করেন, তাকে হত্যা করে শিবির বলে চালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন অভিযুক্তরা।
১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সোহরাওয়ার্দী হল প্রশাসন আবাসিক শিক্ষক অনুপম হীরা মণ্ডলকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তবে তদন্ত কমিটি কয়েকদিন বিলম্বে প্রতিবেদন জমা দেয়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য বলেন, কৃষ্ণকে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতার অনাবাসিক হওয়ায় তাদের সিট বালিত করা যাবে না। তবে তাদের যাতে ভবিষ্যতে আবাসিক সুবিধা না দেওয়া হয় তার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তদের ছাত্রত্ব বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অনুপম হীরা মণ্ডল বলেন, আমরা ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলেছি। চেষ্টা করেছি প্রকৃত ঘটনা জানার। সেই অনুযায়ী প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে; সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।