দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক মনোনীত করা হয়েছে আল্লামা মুফতি খলিল আহমদ কাসেমীকে। তিনি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক আল্লামা হাবিবুল্লাহ কুরাইশি রহ. এর নাতি। শনিবার (৩ জুন) বিকেলে শুরা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একই সঙ্গে মুফতি জসিম উদ্দীনকে মাদরাসার সহযোগী পরিচালক এবং মাওলানা শোয়াইব জমিরিকে সহকারী পরিচালক নিযুক্ত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস। তিনি বলেন, শুরা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও মাদরাসার প্রয়াত মহাপরিচালক মাওলানা ইয়াহইয়ার জানাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। হেফাজতের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর নাম মহাপরিচালক হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে তিনি দায়িত্ব নিতে রাজি হননি।
গতকাল শুক্রবার (২ জুন) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইয়াহইয়া ইন্তেকাল করেন। শনিবার মাগরিবের পর জানাজা শেষে তাকে প্রয়াত মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পাশেই সমাহিত করার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ সেপ্টেম্বর মাদরাসাটির প্রয়াত মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যু হয়। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর তার দাফন শেষে মাদরাসা পরিচালনার জন্য তিন শিক্ষকের একটি প্যানেল নির্বাচিত করা হয়। তারা ছিলেন, মুফতী আবদুস সালাম চাটগামী, আল্লামা শেখ আহমদ, মাওলানা ইয়াহইয়া। ওই তিন শিক্ষকের নেতৃত্বে এক বছর ধরে মাদরাসাটি পরিচালিত হয়।
ওই সময়ে মাদরাসাটি অনেকটা হেফাজতের প্রয়াত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হওয়ায় শফীর শূন্যতা তেমন অনুভব করা যায়নি। তবে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ আগস্ট বাবুনগরী মারা যাওয়ার পর মাদরাসা পরিচালনায় আবার নতুন করে সংকট দেখা দেয়। এর মাত্র ২০ দিনের মাথায় ৮ সেপ্টেম্বর শুরা বৈঠক মুহতামিম পদে মুফতি ইয়াহইয়াকে ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম করা হয়।