বরিশাল জিলা স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন পরীক্ষার্থীদের ঘড়ি নিয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এতে পরীক্ষার্থীরা সময় দেখা নিয়ে বিপাকে পড়েন। আজ সকালে দেখা গেছে কোনো পরীক্ষার হলের দেয়ালেও ঘড়ি ছিলো না। এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা।
পরীক্ষা শুরুর আগে মূল গেটে সব রকমের ঘড়ি ও এক্সাম বোর্ড নিয়ে রেখে আসার জন্য ফিরিয়ে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদেরকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থী জানান ইলেকট্রনিক ঘড়ি নিষেধ সেটা জানা ছিলো কিন্তু আমার কাটার ঘড়ি তা নিয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পরীক্ষার্থী জানান ঘড়ি নিয়ে পরীক্ষা না দিতে পারায় ভালো প্রস্ততির পরও খারাপ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
অভিভাবক শিমিন রহমান বলেন ঘড়ি এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সেটা নিয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি তবে আমি গত বুধবার দেখলাম পরীক্ষা কক্ষগুলোতে ঘড়ি নেই। অভিভাবক নাজমুল হাসান শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এমন ক্ষতি থেকে পরীক্ষার্থীদের রক্ষার জন্য অনুরোধ জানান।
বরিশাল জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক পাপিয়া জেসমিন বলেন, আমাদের কোনো নির্দেশনা ছিলো না ঘড়ি রাখতে কিন্তু কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মচারীরা আমাদের অনুমতি ছাড়া এমন কাজ করেছে। নিয়োগ পরীক্ষা গুলোতে ডিভাইস নিষেধ থাকায় ভুলবশত এটা করা হয়েছে।
আমি শুনে সকল পরীক্ষা কক্ষে দেয়াল ঘড়ি পাঠিয়েছি আর গেটে দায়িত্বরতদের সড়িয়ে দিয়েছি। আগামী পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ঘড়ি ছাড়া সকল ঘড়ি নিয়ে পরীক্ষার্থীরা ঢুকতে পারবেন।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস সিদ্দিকী বলেন, কোনো রকমের ডিভাইসসহ ডিজিটাল ঘড়ি নিয়ে ঢোকা যাবে কিন্তু এনালগ ঘড়ি রাখলে তো নিয়মের ব্যতয় ঘটেছে আজকের জন্য হলে ঘড়ির ব্যবস্থা করবো।