বরিশাল সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিমের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। ফয়জুল করিমের অভিযোগ, নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা তার ওপরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।
ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘আমি তাদের বাবার বয়সী। আমার চুল দাড়ি সবই পেকেছে। অথচ তারা আমাকে রক্তাক্ত করেছে।’
ফয়জুল করিম বলেন, ‘তারা আমার কর্মীদের ওপরও হামলা করেছে। রক্ত যখন দিয়েছি, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে এই জালেম সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করবো। বাংলাদেশের জমিনে হয় শাহাদাত বরণ করবো নয়তো এই জালিমদের হটানোর ব্যবস্থা করবো।’
বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার হুমায়ূন কবির বলেন, ‘আমরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি ফয়জুল করিমের কাছ থেকে তাকে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন সাতজন। এদের মধ্যে দলীয়ভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে চারজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করিম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপফুল)। বাকি তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন। তারা হলেন- মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ), মো. আসাদুজ্জামান (হাতি) ও মো. কামরুল আহসান (টেবিল ঘড়ি)।
এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনে ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। এই সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।