পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী বলেছেন, হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত জানমালের ক্ষতিপূরণ আগের চেয়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে ১ লাখ টাকার স্থলে ৩ লাখ টাকা, গুরুতর আহত ব্যক্তির ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকার স্থলে অনধিক ১ লাখ টাকা, কৃষি ফসল ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির জন্য ২৫ হাজার টাকার স্থলে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একজন মানুষের মৃত্যুর প্রতিদান টাকা দিয়ে হয় না। তবুও সরকারের পক্ষ থেকে এটা সাময়িক উদ্যোগ ও সান্তনা মাত্র। আজকে আমরা বন্যহাতি আক্রমণে মৃত ১ জন ও ১৪ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিতরণ করেছি, এটা চলমান থাকবে।
শুক্রবার রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বন্যহাতির আক্রমণে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর উপলক্ষে কাপ্তাইয়ের প্রশান্তি পার্কে আয়োজিত অনু্ষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বনমন্ত্রী বলেন, হাতির আবাসস্থলে এখন জনবসতি গড়ে ওঠায় হাতি খাবারের খোঁজে মানুষের কৃষি ফসলের ক্ষতি করছে, মানুষ হতাহত হচ্ছে। হাতি মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান এলাকায় ১ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সোলার ফেন্সিং উদ্বোধন করা হয়েছে। এর ফলে হাতি আর লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে স্থানীয় জনগণ নিরাপদে অবস্থান করতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য এলাকাগুলোতে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় হাতিসহ অন্যান্য পশুখাদ্য বাগান সৃজন করা হচ্ছে। স্থানীয় জনগণকে নিয়ে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম গঠন করা করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ধরণের সরঞ্জামাদি ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও এতদঞ্চলে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল উন্নয়নসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প প্রণয়নের কাজ চলছে। এতে আরো সোলার ফেন্সিং স্থাপন, বন্যপ্রাণীর খাবার উপযোগী বাগান সৃজন, ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন ইত্যাদি কার্যক্রমের সংস্থান রাখা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস, রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।