বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার চারদিনের যুদ্ধবিরতি। তবে শুক্রবার পর্যন্ত ফিলিস্তিনি কোন বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ইসরায়েল, এতে করে যুদ্ধবিরতি পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানিয়েছেন যে, চুক্তিটি বাস্তবায়নে বিলম্ব হতে চলেছে, যার অর্থ শুক্রবার পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
বিবৃতিতে, তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, বন্দীদের মুক্তির আলোচনা সর্বদা চলমান রয়েছে। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার শর্তগুলো চুক্তির পরিকল্পনা অনুসারেই চলবে।
তবে বিবৃতিতে চুক্তি কার্যকর কবে হবে তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। এছাড়া ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই বিলম্বের কারণ সম্পর্কে কোন ব্যাখ্যাও দেয়নি।
আল জাজিরা বলছে যে, এ বিষয়ে ইসরায়েলি নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের ভাবনা-চিন্তা উঠে এসেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যমে। কেউ কেউ বলছেন যে এখনও কিছু বিষয় রয়েছে যা চুক্তিতে চূড়ান্ত করা দরকার। আবার কিছু দল এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি বলে জানাচ্ছে আল জাজিরা। তবে কোন কিছুই নিশ্চিত করতে পারেনি বার্তাসংস্থাটি।
আল জাজিরার তথ্যমতে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু নাও হতে পারে। এমনকি যতক্ষণ পর্যন্ত যেসব জিম্মি মুক্তি পাবে তাদের নাম চূড়ান্ত না হচ্ছে— ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি হবে না।
এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই পুরো গাজা উপত্যকা জুড়ে হামলা ও অভিযান আরও বাড়িয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। মধ্য গাজার দেইর এল-বালাহ, নুসিরাত শরণার্থী শিবির, দক্ষিণে খান ইউনিস এবং রাফাহসহ গাজা উপত্যকা জুড়ে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী নাবলুসের কাছে বালাতা শরণার্থী শিবির সহ অধিকৃত পশ্চিম তীরের বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়েছে, যেখানে একজন ১৭ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছে।