আত্মমর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি চাই বাংলাদেশ সবদিক থেকে বিশ্বে সেরা হবে। খেলাধুলা, অর্থনৈতিক উন্নতি, সবদিক থেকে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, প্রতিযোগিতার মধ্যে থেকে উৎকর্ষ সাধন হবে। আর এখান থেকে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এক সময় বিশ্বকাপ খেলতে পারবো। হয়তো একদিন বিশ্বকাপও জিততে পারবো।
শুক্রবার (৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ‘শেখ হাসিনা আন্তব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
খেলাধুলা ও শরীরচর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও সংস্কৃতি চর্চা এগুলোর মধ্যদিয়ে মানুষের মেধা বিকশিত হয়। ঠিক একইভাবে আমাদের দেশের মানুষ উজ্জীবিত হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে, দেশের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে, দায়িত্ববোধ বাড়ে, কর্তব্যবোধ বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি শুধু লেখাপড়া না, পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সঙ্গে যেন সম্পৃক্ত থাকে আমি সেটা চাই।
ফুটবলের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবলের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমার বাবা ফুটবল খেলতেন, দাদা ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। এমনকি আমাদের নাতিপুতিরাও ফুটবল খেলে। সেদিক থেকে ফুটবলের সঙ্গে আমাদের অন্যরকম সম্পর্ক রয়েছে। তার থেকে বড় কথা বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল।
এ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই আয়োজন সারাদেশে একটা অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে। এই আয়োজন যেন এখানেই থেমে না যায়। আমাদের দেশে অনেক খেলা আছে। সেই খেলাগুলোও যেন আস্তে আস্তে যুক্ত করে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আরও চলতে পারে।
ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্টেডিয়াম করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন আমার কাছে দাবি করেছে একটা স্টেডিয়ামের। অবশ্যই একটা স্টেডিয়াম আমি করে দেবো। পূর্বাচলে ক্রিকেট স্টেডিয়াম হচ্ছে, তার কাছে আরেকটা ফুটবল স্টেডিয়ামসহ আমাদের স্পোর্টসের জন্য যেন একটা স্টেডিয়াম হয় সেই ব্যবস্থাটা আমরা করে দেবো।
বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করি। গত কয়েকদিন যেভাবে গরম পড়েছে, আল্লাহর মেহেরবানিতে গতকাল এবং আজকে বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টি যেন আমাদের জন্য একটা শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছে। আমি জানি আমাদের কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে, আমি জানি আমাদের এ অসুবিধাটা থাকবে না।
সমাপনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামে বসে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা উপভোগ করেন। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে আল-আরাফাহ ব্যাংককে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা ছিনিয়ে নেয় ইউনিয়ন ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী বিজয়ী এবং রানার্সআপ দলের মধ্যে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বাব) এর চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার।
৩৪টি ব্যাংকের অংশগ্রহণে ১৩ মে ‘শেখ হাসিনা আন্তঃ-ব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট’ শুরু হয়। বাংলাদেশ আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ডের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক্স।