টাঙ্গাইল জেলা শহরের শহীদ মিনারে ১০ টাকায় বিখ্যাত লেখকদের বই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন’ ও ‘যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন’। শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তবে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বই ক্রেতারা।
সোমবার সকালে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দ্বিতীয়বারের মতো ১০ টাকার বিনিময়ে বই বিক্রি শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
রবীন্দ্র, বঙ্কিম, শরৎসহ বিখ্যাত লেখকদের বই মাত্র ১০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষের কবিতা, দুই বোন, সেজুতি, চতুরঙ্গ, মালঞ্চ; শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দেবদাস, চন্দ্রনাথ; বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কপালকুন্ডলা,জীবনানন্দ দাশের রুপসী বাংলা, জাহানারা ইমামের জীবনমৃত্যু,আল মাহমুদের প্রেমপত্র পল্লবে, গল্প, উপন্যাস, কবিতার বই ছাড়াও বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বইও স্থান পেয়েছে এ আয়োজনে।
১০ টাকায় পছন্দের বই কিনতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ১০০ টাকার বই মাত্র ১০ টাকায় কিনতে পেরেছি। আমাদের জন্য এমন আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়।
আরো একজন বলেন, প্রযুক্তির কারণে শিশুরা বই পড়া থেকে পিছিয়ে পড়েছে। আমি মনে করি এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করলে তারা আগ্রহী হবে।
১০ টাকায় বই কর্মসূচির উদ্যোক্তা মুঈদ হাসান তড়িৎ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শহরের পাঠাগারে শিক্ষার্থীদের পদচারণা কম। তারা এখন ইন্টারনেটে আসক্ত। শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়ার অনুপ্রেরণা যোগাতে আমাদের এ উদ্যোগ। নিজ খরচে বই এনেছি। ১০০-১২০ টাকার বই আমরা নামমাত্র মূল্যে মাত্র ১০ টাকায় বিক্রি করছি। শিক্ষার্থীরা বই পড়ায় আগ্রহী হলেই আমাদের এই উদ্যোগ স্বার্থক।
তিনি আরো বলেন, প্রতি মাসে একবার এ ধরনের আয়োজন করার ইচ্ছে আছে। এখন আমরা শহরে করেছি এরপর আমরা টাঙ্গাইলের বিভিন্ন গ্রামে এ ধরণের আয়োজন করবো। গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাও বই পড়ার সুযোগ পায়। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় সচেষ্টা থাকবে। সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসে তাহলে এ ধরণের কার্যক্রম আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা সক্ষম হবো।
টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগারের সম্পাদক মাহমুদ কামাল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বর্তমানে শিশুরা ফেসবুক ও ইন্টারনেটের কারণে বই পড়া থেকে একদম বিমুখ হয়ে পড়েছে। টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগারে আজ ৩০ বছর যাবত আছি। আমি আগে যখন পাঠক ছিলাম তখন লাইন দিয়ে বই নিতে হতো, আর এখন অনেককে ডেকে এনেও বই দিতে পারিনা। আমাদের সদস্য আছে অনেক কিন্তু অনেকেই বই পড়ে না। দশ টাকা দিয়ে এই বই দেয়ার উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। আমার তরফ থেকে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমি সেটা করবো।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।