টাঙ্গাইলের সদর উপজেলায় সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য চালু হয়েছে ১০ টাকার হোটেল। ব্যতিক্রমী এ হোটেলে মাত্র ১০ টাকায় পেট ভরে খেতে পারছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
গতকাল সোমবার থেকে সদরের বোয়ালী গ্রামে ক্যাফে ৭১ রেস্টুরেন্টে এ ১০ টাকার হোটেল চালু করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন।
জানা যায়, ব্যতিক্রমী এ হোটেলে মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে ডিম খিচুড়ি বা মুরগি খিচুড়ি বা মুরগি ভাত খেতে পারছেন সুবিধাবঞ্চিত মানুষরা। এ হোটেলে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন আবইয়াজ সাইফ,আহসান খান মিলন, রাইয়ান, রাদিত আহম্মেদসহ ৭জন স্বেচ্ছাসেবী।
ক্যাফে ৭১ রেস্টুরেন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবইয়াজ সাইফ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আপাতত ডিম খিচুড়ি, মুরগি দিয়ে খিচুড়ি বা ভাত এ তিনটি মেন্যু থাকলেও ভবিষ্যতে আরও আইটেম যুক্ত করা হবে। শতাধিক নির্বাচিত নিম্ন আয়ের মানুষদের এ হোটেলে খাবার ব্যবস্থা থাকছে।
হোটেলে খেতে আসা রিকশাচালক রাসেল মিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, দামি হেটেলে বসে ভালমন্দ খাওয়ার ভাগ্য হয় না। এখানে খেয়ে খুব ভাল লাগছে।
দিনমজুর হাবিবুল্লাহ বলেন, বাইরে এই খাবার খেতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা লাগত। আর এখানে মাত্র ১০ টাকায় খেতে পারছি।
এ হোটেলের প্রতিষ্ঠাতা মুঈদ হাসান তড়িৎ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম হলো আমাদের এ আয়োজনের অনুপ্রেরণা। আর্থিক সংকটে নিম্ন আয়ের মানুষেরা রেস্টুরেন্টে বসে খেতে পারেন না। তাদের জন্যই আমাদের এ উদ্যোগ। এখানে আমরা রিকশাচালক, দিনমজুর এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পেয়েছি।
তিনি আরও জানান, ভর্তুকি দিয়ে নামমাত্র মূল্যে আমরা খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এখন সপ্তাহে একদিন প্রতি সোমবার এই হোটেল চালু থাকবে। সমাজের বিত্তবান মানুষদের সহযোগিতা পেলে নিয়মিতই এমন আয়োজন করার ইচ্ছা আছে।
হোটেলে কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী রাদিত আহম্মেদ বলেন, এমন আয়োজনের সঙ্গে থাকতে পেরে এবং নিজ হাতে খাবার সরবরাহ করে আমি খুবই আনন্দিত।
হোটেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবইয়াজ সাইফ বলেন, নিজেরাই রান্না করে আমরা খাবার প্রস্তুত করেছি। আপাতত তিনটি মেন্যু থাকলেও ভবিষ্যতে আরো আইটেম যুক্ত করা হবে। শতাধিক নির্বাচিত নিম্ন আয়ের মানুষদের এ হোটেলে খাবার ব্যবস্থা থাকছে।
হোটেলের তত্তাবধায়ক এনামুল হাসান জানান, সারাদেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমাদের এ হোটেল চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।