দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : চলমান শৈত্যপ্রবাহে কোনো জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে শীতের তীব্রতা বিবেচনা করে ওই জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন প্রাথমিকের বিভাগীয় উপপরিচালকরা (ডিডি)। এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
তিনি বলেন, কোনো জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে বিভাগীয় উপপরিচালকরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তবে আমার আরো কিছু বিষয় বিবেচনা করতে বলেছি। যেমন শীতের তীব্রতা। কারণ আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা এক হলেও শীতের তীব্রতার তারতম্য হয়। সেজন্য সার্বিক বিষয়ে বিবেচনায় নিয়ে বিভাগীয় উপপরিচালকরা সবার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন।
পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক আদেশে এ বিষয়ে জানানো হয়। উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলমান আছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
এক্ষেত্রে যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাবে, বিভাগীয় উপপরিচালকরা ওইসব জেলার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক কার্যক্রম শীতের তীব্রতা ও স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিতে পারবেন। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তদূর্ধ্ব না হওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।