মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস তৈরিতে নতুন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এর আওতায় মাধ্যমিকের ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর পাঠাভ্যাস উন্নয়ন করা হবে। দেশের ৩০০ উপজেলার ১৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির আওতায় আসছেন। স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস্ নামের এ প্রকল্প যাত্রা শুরু করেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করবে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র।
বুধবার বিকেলে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে সূচনা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালায় আয়োজকরা জানান, পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এর ব্যাপক প্রভাব বিবেচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এসইডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী ৩০০ উপজেলার ১৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু ভালো বই পড়তে পারবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিগুলোর উন্নয়ন হবে, শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং সবার মধ্যে বই পড়ার মতো ভালো মনোভব তৈরি হবে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির টিম লিডার ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ক্লাব আছে কিন্তু লাইব্রেরি নেই। যার ফলে শিক্ষার্থীরা বই পড়া থেকে দূরে সড়ে যাচ্ছে। আমার এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫ হাজার স্কুলে বই পড়ানো শুরু করবো, সাথে সাথে ১৫ হাজার লাইব্রেরিও চালু হবে।
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ও এসইডিপির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।