অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল সেপ্টেম্বরের শেষে প্রকাশ করা হতে পারে। ইতোমধ্যে খাতা প্রথম পরীক্ষকের থেকে মূল্যায়নের পর দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে পৌঁছেছে। এদিকে, লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার সপ্তাহখানেক পরই অক্টোবরে মৌখিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।
গতকাল রোববার দৈনিক শিক্ষাডটকম ও দৈনিক আমাদের বার্তাকে এমনটাই জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একাধিক কর্মকর্তা।
এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে দুইজন পরীক্ষককে ৩০ দিন সময় দেয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করার। সেক্ষেত্রে ফল সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, শিক্ষক নিবন্ধনের প্রতিটি খাতা দুই জন পরীক্ষক পরীক্ষা করেন। প্রথম পরীক্ষককে ১৫ দিন সময় দেয়া হয়। দ্বিতীয় পরীক্ষকও একই সময় পান। প্রথম পরীক্ষকের কাছ থেকে খাতা সংগ্রহের পর দ্বিতীয় পরীক্ষকের কাছে পাঠাতে ৭ থেকে ১০ দিন লাগে। এবার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রত্যেকে ১৫০ থেকে ৩০০টি করে খাতা দেয়া হয়েছে।
বিধিমালা অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষার ৪৫ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে হয়। অনিবার্য পরিস্থিতিতে এ সময় আরো ১৫ দিন বাড়ানোর সুযোগ আছে। সর্বোপরি ৬০ দিনের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু গত ১২ ও ১৩ জুলাই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সরকার পতনের আন্দোলনের প্রভাবে খাতা মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ঘটে।
এর আগে গত ১৫ মে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। তাতে গড় পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। স্কুল ও কলেজ পর্যায় মিলিয়ে মোট পাস করেন চার লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন চাকরিপ্রার্থী।
গত ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রিলিমিনারিতে ১৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭১৯ জন আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।
কর্মকর্তারা বলেন, লিখিত পরীক্ষায় যারা পাস করবেন সেই তথ্য দরকার হবে। তাই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ভাইভার প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
এর আগে, ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা ১২ ও ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। ১২ জুলাই দেশের আট জেলায় সকাল নয়টা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত স্কুল-২ ও স্কুল পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৩ জুলাই কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এনটিআরসিএ ১৮তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার যে ফল প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গেছে বিপুল সংখ্যক প্রার্থী পাস করতে পারেননি। এতে দেখা গেছে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ৮ লাখ ৬০ হাজারের বেশি প্রার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি।