কুমিল্লার মুরাদনগরে ১৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হয় বায়োমেট্রিক হাজিরাযন্ত্র। তবে সফটওয়্যারের অজুহাতে সেগুলো গত ৩ বছরেও চালু করা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, হাজিরাযন্ত্র বা মেশিনগুলো কেনায় প্রতিটি বাবদ ১৫-২০ হাজার টাকা অনিয়ম হয়েছে।
একাধিক সহকারী শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমাদের শিক্ষক নেতারাই চান না, এটি চালু হোক। কারণ শিক্ষা অফিসের কথা বলে উপজেলায় গিয়ে সময় কাটান তারা। মেশিন চালু হলে তো আর এটা হবে না।
মুরাদনগর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক নেতা জানান, হাজিরা মেশিন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে।
বাঙ্গরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মেশিন যাচাই-বাছাই করেই কিনেছি। ২ বছরের সার্ভিস ও প্রশিক্ষণ দেয়াসহ কেনায় দাম বেশি পড়েছে। করোনার কারণে মেশিন চালু করতে পারিনি আবার সার্ভিসের মেয়াদও চলে গেছে।
মুরাদনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফওজিয়া আকতার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মেশিনের কোম্পানীর সফটওয়্যার দেয়ার কথা থাকলেও দেয়নি। আমি যতটুকু জানি সিম কার্ডের মাধ্যমেও এসব মেশিন থেকে শিক্ষকদের হাজিরা প্রিন্ট করা সম্ভব। এটিও তারা কেনো করছেন না তা জানা নেই। অবশ্য শুরুতেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্যার এসব মেশিন কিনতে মানা করেছিলেন।
মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসানুল
আলম সরকার কিশোর দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শুরুতে আমি রাজি হইনি। উপজেলায় একটি সিন্ডিকেটের মতো আছে। তারা পরবর্তীতে স্লিপের টাকা থেকে এসব মেশিন কিনেছে। এখন শুনছি, মেশিন কেনার ৩ বছরেও নাকি চালু হয়নি। মনে হয়, মেশিন কেনার মূল লক্ষ্য ছিলো ওই সিন্ডিকেটের পকেট ভারি করা।