ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মারধর, হলে সিট নিয়ে সংঘর্ষসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা বিদ্যালয়সহ চার বিশ্ববিদ্যালয় ও এক কলেজের ২১ জন নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
রোববার বিকালে সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইনান জানান, বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্ত করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও কিছু অভিযোগ নিয়ে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে। কোনো অপরাধীকে প্রশ্রয় দেবে না ছাত্রলীগ। কঠোর অবস্থানে ছাত্রলীগ, অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
বহিষ্কার হলেন যারা- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মানব সম্পদ বিষয়ক উপ সম্পাদক নাজমুল হাসান রুপু, কবি জসীমউদ্দিন হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানজীর আরাফাত তুষার, ফজলুল হক মুসলিম হলের সমাজসেবা সম্পাদক আসাদুল্লাহ আসাদ, একই হলের পরিবেশ সম্পাদক মাহিদুর রহমান বাধন, গণ যোগাযোগ উন্নয়ন সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ পলক, উপ দপ্তর সম্পাদক জিহাদুল ইসলাম, উপ অর্থ সম্পাদক আল কাওসার, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা উপ সম্পাদক শাওন চৌধুরী ও কর্মী মো. তারেক, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের সদস্য ফাহিম তাজওয়ার জয়, সাজিদ আহমেদ, জগন্নাথ হলের কর্মী রাহুল রায়, বিজয় একাত্তর হলের কর্মী ফজলে নাবিদ সাকিল, মো. রাহাত রহমান ও সাদিক আহাম্মদ।
এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সম্পাদক অসিত পাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ ইসলাম, রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আলম রাতুল, কর্মী নূর মোহাম্মদ নাবিল ও কামরান সিদ্দিক রাশেদ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের কর্মী রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হল।
একই সঙ্গে ছাত্রলীগের সব সাংগঠনিক ইউনিটকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ সমুন্নত রাখা, গঠনতান্ত্রিক আদর্শিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি বজায় রাখা ও স্মার্ট ক্যাম্পাসের উপযোগী স্মার্ট ছাত্ররাজনীতি বিনির্মাণে সচেষ্ট থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।