২৪ অক্টোবর থেকে ৭ বিভাগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স- গ্যাভির সহায়তায় এ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। শুরুতে ঢাকা বাদে এ কার্যক্রম ৭টি বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীরা বিনামূল্যে Vaxepi অ্যাপ অথবা vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে একডোজ টিকা নিতে পারবেন।
এ জন্য ছাত্রীদের vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে জন্ম সনদের তথ্য দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ‘প্রতিটি ভায়ালে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ থাকে, যা দুই জন কিশোরীকে দেয়া হবে। এটি এক ডোজের টিকা, যা মাংসপেশিতে দেয়া হয়। ইতোমধ্যে ১৩১ দেশে হিউম্যান পাপিলোমা ভাইরাস টিকা দেয়া হয়েছে আর সারভিক্স টিকাটি ২৪টি দেশে দেয়া হয়েছে।’
দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভির কর্মকর্তারা জানান, ব্যাপক পরিসরে এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন বাংলাদেশে সব মেয়ের সুস্বাস্থ্য ও বিকাশ নিশ্চিত করতে এবং দেশে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে দারুণ সহায়ক হবে। জীবন রক্ষায় সাহায্যকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই টিকা তৈরিতে সহযোগিতা করতে পেরে গ্যাভি গর্বিত।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) থেকে। আর এইচপিভি টিকার মাত্র একটি ডোজই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম।