সহকর্মীর সঙ্গে ঝগড়া করার পর প্রতিশোধ নিতে কিন্ডারগার্টেনের ২৫ জন শিক্ষার্থীকে বিষ প্রয়োগ করেন শিক্ষিকা। শিক্ষার্থীদের খাবারের সঙ্গে বিষাক্ত সোডিয়াম নাইট্রেট মিশিয়ে দেন সেই শিক্ষিকা।
বিষাক্ত খাবার খেয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় এবং ২৪ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ ঘটনার ৪ বছর পর সেই শিক্ষিকাকে ফাঁসিতে ঝোলালো দেশটির আদালত।
চীনের হেনান প্রদেশের জিয়াওজুও শহরে এ ঘটনা ঘটে। ৩৯ বছর বয়সী ওয়াং ইউন মেংমেং নামের একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষিকা ছিলেন।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে হেনান প্রদেশের আদালতে মামলা চলছিল ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন ওয়াং। তার পরই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ওই দিনই তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অন্য এক শিক্ষকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন নিয়ে। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে ওয়াং সোডিয়াম নাইট্রেট কিনে আনেন। তারপর স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য রান্না করা খাবারে সেই রাসায়নিক মিশিয়ে দেন। তাতে বিষক্রিয়া হয়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এবং আরও ২৫ জন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
কিভাবে শিক্ষার্থীদের বিষক্রিয়া হল, তা নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই কোনও সূত্র খুঁজে পাচ্ছিল না তারা। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেই তদন্ত চলে। অবশেষে এই ঘটনায় শিক্ষকের জড়িত থাকার সূত্র খুঁজে পান তদন্তকারীরা। কিন্তু তত দিনে স্কুলের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন ওয়াং।
সেই শিক্ষককেই বৃহস্পতিবার ফাঁসিতে ঝোলাল চীন।