আগামী ১৭ এপ্রিল বেলা ১২টা থেকে অনলাইনে ৫ম গণ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের আবেদন শুরু হবে। আর ৯ মে পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ চলবে। ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের ফি জমা দেয়া যাবে। তবে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীদেরকে অবশ্যই কিছু নির্দেশনা মানতে হবে।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ জানুয়ারি যেসব প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছর বা তার কম তারা শিক্ষক নিয়োগে আবেদনের সুযোগ পাবেন।
এদিকে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯৬ হাজার ৭৩৬টি শিক্ষক শূন্যপদের তালিকা এনটিআরসিএর (www.ntrca.gov.bd) এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে (http://ngi.teletalk.com.bd) আগামী ১৭ এপ্রিল বেলা ১২টায় প্রকাশ করা হবে।
এ সময়ের পর থেকে আবেদন করা যাবে। বিষয় পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারীরা শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করতে পরবেন।
আরো পড়ুন: পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আবেদন শুরু বুধবার
আবেদনকারীর যোগ্যতা ব্যাপারে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারী হতে হবে, এনটিআরসিএ’র প্রকাশিত সম্মিলিত মেধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে।
কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ দেখার জন্য এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের ‘পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি’নামের সেবা বক্সে ক্লিক করতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবল তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে।
আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য দেয়ার মাধ্যমে আবেদন করলে এবং তদন্ত অনুযায়ী নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত হলে সেই সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সহকারী শিক্ষক (ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা) পদে চাকরি প্রত্যাশী আবেদনকারীকে অবশ্যই সে ধর্মের অনুসারী হতে হবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করলে নির্বাচন বাতিল করা হবে।
অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নামের বানানসহ অন্যান্য তথ্যাদি নিবন্ধন সনদে বর্ণিত তথ্যের অনুরূপ হতে হবে। নামের বানান নিবন্ধন সনদের অনুরূপ না হলে বা ভুল বানান ব্যবহার করলে কম্পিউটার প্রসেসিংয়ে এ বিভ্রাট ঘটলে যার দায় সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে বহন করতে হবে।
সহকারী শিক্ষক (ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা) পদে চাকরি প্রত্যাশী আবেদনকারীকে অবশ্যই সে ধর্মের অনুসারী হতে হবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করলে তা বাতিল করা হবে।
যে সব পদের বিপরীতে ‘নারী কোটা’ প্রদর্শিত হবে, সেসব পদে শুধুমাত্র নারী প্রার্থীরা আবেদন করবেন। অবশিষ্ট সব পদে পুরুষ-মহিলা দুই প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন ফরম পূরণের সময় প্রার্থী তার নিজস্ব মোবাইল নম্বর এবং সচল ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করতে হবে। কারণ ফরমে উল্লিখিত ইমেইল নম্বরে অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণের ইউজার আইডি এবং পাসওয়্যার্ড পাঠানো হবে।
নিয়োগ আবেদন ফরমটি পূরণের ক্ষেত্রে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ফরম পূরণ শেষে একবার আবেদনপত্র সাবমিট হয়ে গেলে তা কোনোভাবেই সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।
সব বৈধ আবেদনকারী অনলাইনে সফলভাবে আবেদন পেশ করার পর এনটিআরসিএ’র পক্ষ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি মেসেজ দেয়া হবে। এছাড়া আবেদনকারীকে স্ব-উদ্যোগে দাখিল করা আবেদনের একটি প্রিন্ট কপি সংরক্ষণ করতে হবে।