বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের আদর্শের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রটি শিক্ষকদের সাথে নিয়ে দেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) পাঁচ শতাধিক শিক্ষক ও তাদের পরিবারকে নিয়ে 'মুজিব' সিনেমাটি দেখেছেন ঢাবির নবনিযুক্ত ভিসি। এই মাসের ১৩ তারিখ সারাদেশে মুক্তি পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার'।
মাকসুদ কামাল বলেন, এই প্রজন্মের যারা আছে তারা বঙ্গবন্ধুকে জানতে চায়। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু অর্থ আমাদের জাতিসত্তা। মুজিব একটি জাতির রূপকার, এই সিনেমার মধ্য দিয়ে বস্তুত অর্থে বঙ্গবন্ধু যে একটি জাতির আর্কিটেক্ট, সেটা কিভাবে একটি জাতির স্বপ্নকে বাস্তব রুপ দিয়েছেন, কিভাবে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন তা এই সিনেমায় ফুটে উঠেছে।
তিনি আরো বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষক এসেছেন এবং তাদের পরিবারসহ এসেছে, সন্তানরা এসেছে। এই নতুন প্রজন্মের যারা আছে তাদেরকে নিয়ে আসার অর্থই হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে জানা এবং তার মধ্য দিয়ে দেশপ্রেম সৃষ্টি করা। আর দেশপ্রেম যদি সৃষ্টি হয়, একটি জাতিসত্তা, একটি জাতি রাষ্ট্রের জন্ম যেভাবে হয়েছে জানতে পারে তাহলে জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে সংগ্রাম করছেন, সেই সংগ্রামের সহযোগী শক্তি হিসেবে আমরা কাজ করতে পারব।
ঢাবির নতুন ভিসি বলেন, এই ছবিটি হল একটি জাতির প্রেরণা, এই ছবিটি হল একটি জাতির প্রত্যয়। মুজিব একটি জাতির রূপকার সিনেমা দেখার মধ্য দিয়ে আমাদের মধ্যে প্রতিজ্ঞা সৃষ্টি হবে, আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল তা বাস্তবে রূপ দেয়ার। আর এ কারণেই আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ শিক্ষক এখানে এসেছি। আর যারা আসে নাই তারাও যেন ধারাবাহিকভাবে সিনেমাটা দেখতে আসে সেজন্য অনুপ্রাণিত করব।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, এই সিনেমার অনুপ্রেরণার যে ঢেউ তা আমরা সারাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে দেব। শিক্ষার্থীরা যেন জানার সুযোগ পায় আমাদের জাতিরাষ্ট্র কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
একই সাথে পাঁচ শতাধিক শিক্ষক একসঙ্গে সিনেমাটি দেখার সুযোগ পেয়ে সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।