৫২ পেরিয়ে ৫৩ বছরে পদার্পণ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে জাবির যাত্রা শুরু হয়। প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার দিনটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে উদযাপিত হয়। এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম জাতীয় পতাকা এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: নূরুল আলম বলেছেন, শিক্ষা ও গবেষণায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দেশ ও বিদেশে খ্যাতি অর্জন করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে আর্ন্তজাতিক তালিকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষার্থী স্থান লাভ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঋদ্ধ করেছেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা সূচিত হয়েছিল, সে লক্ষ্য পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রসরমান। শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি দেশ এবং জাতির কল্যাণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অতুলনীয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য কীর্তি স্থাপন করে এ বিশ্ববিদ্যালয় জাতিকে পথ দেখাচ্ছে।
উদ্বোধনী মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, হল প্রভোস্টরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। এরপর সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের আয়োজনে চাকরি মেলা, বৃক্ষ রোপণ, বিকেলে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ পুতুল নাট্য গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিবেশনায় পুতুল নাট্য, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শিল্পী শফি মন্ডল বাউল গান পরিবেশন করেন।
১৯৭০-১৯৭১ শিক্ষাবর্ষে ৪ জানুয়ারি অর্থনীতি, ভূগোল, গণিত ও পরিসংখ্যান-এই চারটি বিভাগে ভর্তিকৃত (প্রথম ব্যাচে) ১৫০জন ছাত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আহসান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন ড. সুরত আলী। বিশিষ্ট রসায়নবিদ অধ্যাপক ড. মফিজ উদ্দিন আহমদ প্রথম উপাচার্য হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।