চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬শে মার্চ হলেও বঙ্গবন্ধু মূলত ৭ই মার্চের ভাষণেই সেই ঘোষণা পরোক্ষভাবে দিয়ে দিয়েছিলেন। পাকিস্তানীদের উপর্যুপরি নির্যাতন ও বৈষম্যের কারণে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ যখন অসহায় হয়ে পড়েছিলো। তখনই বঙ্গবন্ধু এই ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে সর্বস্তরের বাঙালিকে উজ্জীবিত করে তোলেন। এই ভাষণ পৃথিবীর যেকোনো নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা। আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে এই ভাষণের তাৎপর্য উপলব্ধি করে ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে উন্নত-সম্মৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর এবং পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার, স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ ইকরাম, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দীন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।
এর আগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের নেতৃত্বে এক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা উপস্থিত ছিলেন। এরপরই চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তকবক অর্পণ করা হয়।