ছুটি না নিয়েই কর্মস্থলে দিনের পর দিন অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই সাত মাসে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কিংবা না জানিয়ে মোট ৮০ দিন ছুটি কাটিয়েছেন তিনি। এখন আবার হঠাৎ করে খোঁজ মিলছে না এই কর্মকর্তার।
জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বেরোবি উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরসহ প্রায় ৪০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। এতে বেরোবি অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ায় আবারও ইচ্ছামতো ছুটি কাটাচ্ছেন বেরোবি রেজিস্ট্রার।
প্রশাসনিক ভবনের নথি সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি তৃতীয়বারের মতো চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার হিসেবে প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরীকে পুনঃনিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে প্রায় প্রতি মাসেই অসুস্থতার কথা বলে দিনের পর দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত মোট ৮৪ দিন রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেছেন।
এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ছুটি কাটিয়েছেন ১২ দিন, মার্চ মাসে চার দিন, এপ্রিল মাসে ২২ দিন, মে মাসে নয় দিন, জুন মাসে ৩০ দিন ও আগস্ট মাসে তিন দিন ছুটি কাটিয়েছেন তিনি। এর মধ্যেই কাউকে কিছু না জানিয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে রেজিস্ট্রার দপ্তরে অনুপস্থিত রয়েছেন।
রেজিস্ট্রার আলমগীর চৌধুরীর ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রেজিস্ট্রার শাহীদ আল মামুন বলেন, যতদিন ভিসি স্যার ছিলেন রেজিস্ট্রার স্যার তার কাছেই ছুটি নিতেন। এখন তো ভিসি স্যার নেই। কার কাছেই বা ছুটি নেবেন।
রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি দপ্তরে আসেননি। কোথাও ছুটিও নেননি।এ বিষয়ে বেরোবি রেজিস্ট্রার আলমগীর চৌধুরীর মুঠোফোনে এখাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের আগস্ট মাসে চুক্তির শর্ত ভেঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে অবৈধভাবে প্রায় দেড় লাখ টাকা ঈদ বোনাস নিয়েছিলেন আলমগীর চৌধুরী। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ইউজিসির নির্দেশনায় ওই অর্থ ফেরত দেন তিনি।