শিক্ষার্থীদের ডাকা গণমিছিলকে সামনে রেখে রাজধানীর উত্তরায় জড়ো হতে শুরু করেছেন শিক্ষার্থী। শুক্রবার সকাল থেকেই ঢাকা-বিমানবন্দর মহাসড়ক সংলগ্ন উত্তরার বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশে অবস্থিত রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের প্রধান ফটকের সামনে রাস্তার ওপর জড়ো হয়েছেন শত শত শিক্ষার্থী। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন স্থানীয় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও অভিভাবকরাও।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে ‘শোক নয় দ্রোহ, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ছাত্র হত্যার বিচার চাই, ফ্রম গাজা টু ঢাকা’সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের মুক্তি চেয়ে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নুসরাত নামের এক ছাত্রী বলেন, আজকে কেন আমরা রাস্তায়? কারণ আমার ভাই (সহপাঠী) স্বপ্ন কারাগারে। আমার ভাইকে রেখে আমি পরীক্ষার হলে বসতে পারব না। আমার ভাই মুক্ত হবে এরপর আমরা সবাই মিলে পরীক্ষা দিতে বসব।
ওই ছাত্রী বলেন, কী দোষ ছিল মুগ্ধ ভাইয়ের? যে মুগ্ধ ভাই পানি বিলাচ্ছিলেন। একটা স্বাধীন দেশে মানুষকে পানি খাওয়ানো কি অপরাধ? একটা ছোট্ট মেয়ের ছাদে যাওয়া কি অপরাধ?
আফিফ হাসান নামে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের প্রধান দাবি হচ্ছে সারা বাংলাদেশে যত এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ আন্দোলনে যত মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে তাদের মুক্তি দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া আহসান ইকবাল নামে এক অভিভাবক বলেন, আমাদের সন্তানদের গুলি করে মারা হলো- এর বিচার কে করবে? অনেককে ধরে নিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এসব শিশুদের ভবিষ্যতের কি হবে? আমরা আমাদের সন্তানদের মুক্তি চাই।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন-গণমিছিল ঘিরে উত্তরার মোড়ে মোড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার সুমন কর যুগান্তরকে বলেন, সার্বিক পরিস্থিতির উপর আমাদের নজর রয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সঙ্গে বিজিবি এবং সেনাবাহিনী রাস্তায় টহল দিচ্ছে।