দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছবি ও ভিডিও নিয়ে ‘অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট’ তথ্য প্রচার হচ্ছে দাবি করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি এ ধরনের তথ্য পরিবেশন থেকে বিরত থাকতে ৭ দিনের সময় দিয়ে বাবা মো. সাইফুল ইসলামকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সিনথিয়া ইসলাম তিশা। এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর পাশাপাশি বাবার বিষয়ে ‘এক্সক্লুসিভ’ তথ্য জানাতে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন আলোচিত তিশা-মুশতাক দম্পতি।
শনিবার (২ মার্চ) তিশা-মুশতাকের পক্ষে অ্যাডভোকেট হাসান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের সত্ত্বাধিকারী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একই দিন বিকেলে গুলশান-১ নম্বরের একটি বাড়িতে ওই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের বিকেলের ওই সংবাদ সম্মেলন কাভার করার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে আলোচিত দম্পতি সিনথিয়া ইসলাম তিশা এবং খন্দকার মুশতাক আহমেদের পক্ষে বিগত ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ তারিখে অ্যাডভোকেট হাসান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের স্বত্বাধিকারী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা সাইফুল ইসলামকে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন।
কেন সেই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলো সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর পাশাপাশি সাইফুল ইসলামের বিষয়ে ‘এক্সক্লুসিভ’, অজানা তথ্যাদি জানানোর জন্য আজ ২ মার্চ, ২০২৪ ইং ফুড প্যালেস, বাড়ি নম্বর- এসডব্লিউএফ ৪/এ, রোড নম্বর- ১, গুলশান-১ (ড. ফজলে রাব্বি পার্কের উত্তর অংশে নিকেতন গেট-১ এর কাছে বিকেল ৪টায় একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি স্বামী খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও তাকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য না দিতে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বাবাসহ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠান তিশা। আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার তিশা-মুশতাক দম্পতির পক্ষে ওই নোটিশ পাঠান।
ওই নোটিশে তিশা-মুশতাকের আইনজীবী উল্লেখ করেন, সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও খন্দকার মুশতাক আহমেদ দম্পতির স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত করার পাশাপাশি তাদের সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে মানহানি করা হচ্ছে। যা প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একই সঙ্গে কোনোপ্রকার লিখিত অনুমতি ছাড়া খন্দকার মুশতাক আহমেদের ছেলে ও মেয়ে, প্রাক্তন স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের ছবি, ভিডিও নিয়ে অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট তথ্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে পরিবেশন, প্রকাশ, সম্প্রচার তথা প্রচারণা করে প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সেদিন লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি তিশা-মুশতাক দম্পতি সম্পর্কে আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে সামাজিক মাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমে অসত্য, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট তথ্যাদি পরিবেশন থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতেও তিশার বাবাকে অনুরোধ জানানো হয়।