চাঁদপুরের মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নদী দখলের পেছনে একজন নারী মন্ত্রীর ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
আজ রোববার বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যা’ বিষয়ক এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে মনজুর আহমেদ চৌধুরী এ মন্তব্য করেন। আরো পড়ুন : চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির দাম নিয়ে প্রতারণার চেষ্টা হয়েছে
মনজুর আহমেদ বলেন, মেঘনায় এর আগে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। যাদের নেতৃত্বে এ কাজ বন্ধ করা হয়েছে, তাদের পরে পানিশমেন্ট হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে। স্ট্যান্ড রিলিজ দেওয়া হয়েছ।
তিনি বলেন, আবার সেখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। আর এখানে ভূমিকা রয়েছে একজন নারী মন্ত্রীর।
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, এই হায়েনার দল থেকে নদীকে বাচানো যাচ্ছে না। এই হায়েনার দলের পেছনে আছে রাজনৈতিক শক্তি। চাঁদপুরের ওই নারী মন্ত্রী তাদের সহায়তা করেন।
অনুষ্ঠানে দেশে নদ-নদীর তালিকা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। ওই তালিকায় নদ-নদীর সংখ্যা এক হাজার ৮টি।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তথ্যমতে, দেশের দীর্ঘতম নদী পদ্মা। ৩ বিভাগের ১২টি জেলায় প্রবাহিত নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে দেশে ২২ হাজার কিলোমিটারের দীর্ঘ নদীপথ রয়েছে।
খুব শিগগিরই এসব নদ-নদীর নাম গেজেট আকারে প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে নদী রক্ষা কমিশন। একইসঙ্গে নদীর সংজ্ঞাও চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন। আরো পড়ুন : চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা, তথ্য দুদকের হাতে
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক প্রধান হাইড্রোলজিস্ট মো. আখতারুজ্জামান তালুকদার। আরো পড়ুন: সাত দিনের মধ্যে সেলিম চেয়ারম্যানকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
এর আগে গত ৯ আগস্ট নদী রক্ষা কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে ৯০৭টি নদ-নদীর খসড়া তালিকা প্রকাশ করে। তালিকার বিষয়ে কারো আপত্তি বা মতামত থাকলে তা কমিশনকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। আরো পড়ুন : সেই সেলিম খানের কাছ থেকে রাজস্ব বাবদ অর্থ আদায়ের নির্দেশ
কমিশনে জমা পড়া সব মতামত ও আপত্তি নিষ্পত্তি করে আজ নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে নদীর সংখ্যা বেড়েছে ১০১টি।