ক্রিকেটের আইন বনাম চেতনা- এ লড়াইয়ে ক্লান্ত হয়ে আইসিসি আইনের বই থেকে 'মানকাডিং' আউট সরিয়ে নিয়েছে। এখন ক্রিকেটে আর মানকাডিং আউট বলে কিছু নেই। বোলার বল করার আগে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের ব্যাটসম্যান বাইরে চলে গেলে, তখন স্টাম্প ভেঙে দেওয়ার এই আউট এখন শুধুই রানআউট।
নাম বদলালেও এখনো এমন আউট দেখলে ক্রিকেটীয় চেতনার চর্চা করতে পছন্দ করেন অনেকে। ওদিকে আজ বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা ম্যাচে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস নির্ধারিত দুই মিনিট সময়ে মধ্যে বল খেলার জন্য প্রস্তুত না হতে পারায় টাইমড আউট হয়েছেন।
উইকেটে উপস্থিত হওয়ার পর হেলমেটের স্ট্র্যাপ ছেঁড়া দেখে সেটা বদলানোর চেষ্টা করেছেন ম্যাথুস। কিন্তু সেটা মাঠে পৌছানোর আগে দুই মিনিট পেরিয়ে যায়। তাই তাঁকে আউট দেন আম্পায়ার ইরাসমাস ও ইলিংওর্থ।
আরও পড়ুন: যুদ্ধে নেমে জয় সবকিছুর আগে: সাকিব
এমন আউটের পর এর পক্ষে-বিপক্ষে কথা হচ্ছে অনেক। এর আইনি দিক নিয়ে তো তর্ক করার উপায় নেই, আইনে আছে বলেই আম্পায়ার আউট দিয়েছেন। কিন্তু এভাবে আউট করার কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল কিনা-সেই চেতনা নিয়েই প্রশ্ন হচ্ছে। বোলার হিসেবে তখন সাকিব আল হাসান ছিলেন, অধিনায়কও সাকিব। চাইলেই সাকিব ম্যাথুসকে ফেরাতে পারতেন –সেই আলোচনা হচ্ছে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, এমনভাবে আউট হয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে হেলমেট ছুঁড়ে মারা ম্যাথুস নিজেও কিন্তু বিতর্কিত আউটের ক্ষেত্রে ‘ক্রিকেটীয় চেতনা’র কথা চিন্তা করেননি।
২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুন বার্মিংহামে পঞ্চম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। ৪৪তম ওভারে বল করছিলেন সচিত্র সেনানায়েকে। তৃতীয় বলের সময় ক্রিজ থেকে বেড়িয়ে যান জস বাটলার। স্টাম্প ভেঙে দেন সেনানায়েকে। আম্পায়াররা তখন অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি আবেদন ফিরিয়ে নিতে চান কি না। কিন্তু ম্যাথুস আবেদন ফিরিয়ে নেননি। আউট হয়ে যান বাটলার।