নির্বাচন পাতানো ছিল না বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাতানো হলে নির্বাচনের পর বিভিন্ন দেশ অভিনন্দন জানাল কেন? যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও অভিনন্দন জানিয়েছেন সরকারকে। নামিদামি দেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
আজ বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভার প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বড় একটা অংশ সংসদ সদস্য হয়েছেন। জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রণকৌশল নিতে হয়েছে, যার সোনালি ফসল ঘরে তুলেছি। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এখন অনেক কথাই বলবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আস্ফালন কোথায় গেল? জনগণকে নিবৃত করার চেষ্টা করেছে তারা। বিএনপি বর্জন করেছে, এ ছাড়া নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলার নেই। ভালো নির্বাচন হয়েছে সে প্রশংসা আসছে। কেবল তারা নির্বাচনকে গ্রহণ করতে পারছে না। তারা এখন বলছে সংসদ অবৈধ।
নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করেছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমানের মতো প্রহসনের নির্বাচন, মাগুরার মতো নির্বাচন করলেই কি নির্বাচন বৈধতা পাবে? বিএনপিকে অন্তত আওয়ামী লীগের নির্বাচন শেখাতে হবে না। দেশে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করেছে, সরকারি দলের প্রার্থীকেও শোকজ করেছে কমিশন। গণতন্ত্রের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা।
কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকার যেদিন গঠিত হয়েছে, তার পেছনের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সাংবিধানিক সেই বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিএনপি তালা লাগাতেও পারে আবার ভাঙতেও পারে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপিকে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। নতুন ট্রেনের জন্য বিএনপিকে অপেক্ষা করতে হবে।