দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন গাইবান্ধা-১ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেছেন, কোনো নিয়ম-নীতি ছাড়া শুধু রাজনৈতিক পরিচয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত রোববার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ২৫তম ও ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের পঞ্চম অধিবেশনে দুই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বিলের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, আজকে বাংলাদেশে একটা ভিসিপুল থাকা দরকার। কারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি হবেন, এর কোনো গাইডেন্স নেই। কমপ্লিটলি পলিটিক্যাল কনসিডারেশনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভিসি নিয়োগ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, এমন প্রক্রিয়ায় যিনি ভিসি হচ্ছেন—অনেক ক্ষেত্রে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বজন শ্রদ্ধেয় নন। একজন ভিসি মানে সুপার প্রফেসর, প্রফেসররা যাকে সম্মান করবেন। একটা সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার অভাবে সেটা অনেক ক্ষেত্রে ব্যাহত হচ্ছে।
ওই বক্তব্য খণ্ডন করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ভিসি নিয়োগে কোনো ক্রাইটেরিয়া না দেখে শুধু দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়—কথাটি মোটেও সত্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি নিয়োগে আমরা একাডেমিক এক্সিলেন্স, লিডারশিপ কোয়ালিটি, এডমিনিস্ট্রেটিভ এক্সপেরিয়েন্স—এসব দেখি। তার সঙ্গে তিনি শিক্ষক সমিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন কিনা, প্রশাসনের কোন কোন জায়গায় তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন, এসব জায়গায় তিনি কতোটা সফল হয়েছেন- এসব বিষয় দেখেই কিন্তু আমরা ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিই।
মন্ত্রী বলেন, যাকেই ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হোক না কেন, এটা যাচাই-বাছাই করেই দেয়া হয়। আমরা প্রথমে তিন জনের একটা তালিকা তৈরি করি। এরমধ্যে আবার তালিকার সবার বিভিন্ন বিষয়ের বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়। তারপরেই নিয়োগ দেয়া হয়।
ভিসিদের সক্ষমতা নিয়ে নিয়ে দীপু মনি বলেন, একজন শিক্ষক তার ভূমিকায় যেমন ছিলেন, ভিসির ভূমিকায় গিয়ে তিনি ঠিক কতোটা পারফর্ম করবেন সেটা কিন্তু আগে থেকেই বলা যায় না। সেজন্য কোথাও কোথাও হয়তো আমরা আমাদের কাঙ্খিত জায়গাটা পাচ্ছি না। এমন হলে কিন্তু আমরা তাকে আর দ্বিতীয় মেয়াদে চিন্তা করি না।