সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিমে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হলে একজন শিক্ষক দেড় কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ।
বুধবার টানা তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রত্যয় স্কিমে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। এই স্কিমে অন্তর্ভুক্ত করা হলে একজন শিক্ষকের ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার মতো আর্থিক ক্ষতি হবে।
তিনি পেনশন কর্তৃপক্ষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষতি করে ভালো থাকতে পারবেন না। শিক্ষকেরা দেশের বিবেক। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। সুপার গ্রেডের জন্য আন্দোলন করছে।
তিনি বলেন, আমাদের বেতন স্কেল নিয়ে আমাদের সম্মানহানি করা হচ্ছে। আমাদর যে পেনশন স্কিম ছিলো সেখান থেকে আমাদের সরিয়ে ভবিষ্যতে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীন অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী চলতি বছরের ১ জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভুক্ত করবে সরকার।