আসন্ন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সুযোগ পেয়েছেন তিন বাংলাদেশি ক্রিকেটার। মোস্তাফিজুর রহমানকে রিটেইন করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস।
আর নিলাম থেকে সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসকে দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। যদিও তাদের কতটুকু সময় পাওয়া যাবে, এ নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ মাঠে গড়াবে মধ্য মার্চ থেকে মে মাস অবধি। এসময় থাকবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা। মার্চে আয়ারল্যান্ড আসবে এক টেস্ট ও তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে। ফিরতি সফরে এপ্রিলের শেষ দিকে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডে যাবে তিন ওয়ানডে ও চার টি-টোয়েন্টি খেলতে।
মূলত এই সিরিজের জন্যই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আইপিএলে পুরো সময় পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সাকিব ও লিট্ন আবার টেস্ট ফরম্যাটের নেতৃত্বেও আছেন। গতকাল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও জানালেন, জাতীয় দলের ব্যস্ততা থাকলে ছাড় পাবেন না ক্রিকেটাররা।
তিনি বলেন, ‘যত বেশি ক্রিকেটার আইপিএলে যাবে আমরা তত খুশি। তবে বাংলাদেশের খেলা যখন থাকবে তখন কাউকেই ছাড়া হবে না। জাতীয় দলের খেলা থাকলে তারা কেউ খেলতে পারবে না। আমরা এরমধ্যে আইপিএল কৃর্তপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি। তারা জেনেই এসব ক্রিকেটারকে নিয়েছে। নাহলে আরও ক্রিকেটার যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।’
আইপিএলে দল পাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কেমন এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এটা অবশ্যই আমাদের জন্য খুবই ভালো। আমরা কিন্তু সবাইকে সব খেলায় পাই না। কিছু ক্রিকেটার আছে খুবই চোটপ্রবন। এদের নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত। খেলতে যে যাবে, তারপর? একে তো এখানে আমরা খেলাতে পারি না। পেসার যেমন অনেককে খেলাতে পারছি না। ভালো হবে, ভালো হয়ে ওখানে খেলবে। তারপর যদি চোটে পড়ে তাহলে তো জাতীয় দলে খেলতে পারবে না।’
‘এই জিনিসগুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কারণ ওদের ওপর এমনিতে খেলার যে চাপ, জাতীয় দলের জন্য তারা অবদান রাখতে পারবে কি না, সেটাও দেখার বিষয়। সুযোগ পাওয়া ভালো দিক তবে আমি মনে করি, একটু বুঝেশুনে যাওয়া উচিত। যতগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি আছে সবগুলোতে যেতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আইপিএল অবশ্যই সেরা, এখানে যাওয়াতে আমার কোনো সমস্যা নেই।’