বাংলাদেশ নিয়ে ভিসানীতি ঘোষণা করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে দেশটির আদালতে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের মামলা হয়তো বাহবা পাওয়ার জন্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি এটা জানি না, ওদেরকে জিজ্ঞেস করেন। আমার কোনো ধারণা নাই। এটা হয়তো কিছু বাহবা পাওয়ার জন্য, মিডিয়ায় বাহবা পাওয়ার জন্য এসব করেছে হয়তো কেউ। মনে করে যে, এটা করলে তার বেশ বাহবা মিলবে। মূল উদ্দেশ্য কী, আমরা জানি না। এসব আমাদের কিছু জানা নাই।
মার্কিন ভিসানীতি প্রত্যাহার চেয়ে জো বাইডেনসহ পররাষ্ট্র দপ্তরকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলা করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক রাব্বী আলমসহ তিন প্রবাসী। মামলার অন্যতম বাদী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক রাব্বী আলম হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কমিশনের চেয়ারম্যান।
তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সত্যি সত্যি, না নিজে নিজে আওয়ামী লীগ? ইদানিং আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় বহুলোক, যারা আগে জামায়াত করত, যারা আগে উল্টা দল করত, তারা এখন নিজেদের বলে বেড়ায় যে, তারা আওয়ামী লীগের লোক। আর হয়তো আওয়ামী লীগের নেতার সঙ্গে একটা ছবি তুলে ফেলেছে, আর ওই ছবি দিয়ে বলবে আমি আওয়ামী লীগ। এগুলো কিছু স্বার্থান্বেষী লোক, সুবিধাবাদী লোক।
ড. মোমেন বলেন, ‘আমাদের সুবিধাবাদী লোকের কোনো অভাব নাই। আমি গতকালকেও অনেক ছবি তুলেছি, এর মধ্যে কয়জন সুবিধাবাদী আমরা জানি না। আর এই ঈদের সময় হাজার হাজার ছবি তুলেছি। এর মধ্যে কে কি, আমি জানি না। পরে হয়তো বলবে যে, আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর সঙ্গে আমার ছবি আছে। আপনি কখনও জানবেন না’।
এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের প্রতিবেশি দেশগুলোর রাজনীতির বিষয়ে সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা এসব শুনিও নাই, আর গণমাধ্যমে তো অনেক কিছু বের হয়। অনেক কিছু বলা হয় নাই, তবে বলার নাম দিয়ে বলে ফেলে। সুতরাং আমরা জানি না। যদি বের হয়, উনাকেই জিজ্ঞেস করেন। তবে, আমাদের ভারতের সঙ্গে বেশ শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। উই হ্যাভ ভেরি সলিড রিলেশনশিপ। কারণ, আমরা আমাদের প্রতিবেশিদের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তৃপ্ত।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) আসছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জানি না।