প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বিচার ব্যবস্থায় যদি কোনো অনিয়ম কিংবা দুর্নীতি হয় তা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া জরুরি। কেননা এতে বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার জায়গাটি নিশ্চিত হয়।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, 'গণমাধ্যমের সঙ্গে আমাদের বিচার বিভাগের সম্পর্ক চিরকালই আন্তরিকতা ও ঘনিষ্ঠতার রঙে রঙিন হয়ে আছে। জনগণের আস্থাই বিচার বিভাগের সবচাইতে বড় সম্পদ, আর সেই আস্থা প্রতিফলিত হয় গণমাধ্যমের হাত ধরে। একইসঙ্গে বিচার বিভাগ একটি সংবেদনশীল ক্ষেত্রও বটে।'
'ফলে আদালত ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে আমরা গণমাধ্যমের কাছ থেকে দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতা প্রত্যাশা করি। কেননা একটি অপ্রকাশযোগ্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ বা তথ্যের ভুল ব্যাখ্যা সমগ্র বিচার ব্যবস্থার জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে', বলেন তিনি।
ওবায়দুল হাসান বলেন, 'গণমাধ্যম এখন আর কেবল সেই প্রাচীন মুদ্রিত কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গণমাধ্যমের প্রকার এখন নানাভাবে বিস্তৃত। টেলিভিশন, মুদ্রিত পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা বা পোর্টাল, রেডিওর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো এখন শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'মানুষ এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেই বেশিরভাগ সংবাদ জেনে নিতে পারছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণহীন ব্যক্তি-উদ্যোগে প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্নবিদ্ধ। তাই এ বিষয়ে আমি সকলের সচেতনতা প্রত্যাশা করছি।'