বিদেশি শক্তি বিএনপি-জামায়াতকে সাথে নিয়ে দেশে গণতন্ত্রের পাঠশালা খুলে বসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
শুক্রবার (২৩ জুন)আওয়ামী লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর কোথায় ছিল গণতন্ত্র, কোথায় ছিল মানবাধিকার। আমাদের প্রায় ২৬ হাজার নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছিল শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার কারণে। ১০ হাজার মা বোনকে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল, তখন কোথায় ছিল আপনাদের মানবতা। কোথায় ছিল গণতন্ত্র যখন আমাদের নেতা শাহ এম এস কিবরিয়াকে প্রকাশ্য জনসভায় হত্যা করা হল। আমাদের সংসদ সদস্য আহসানুল্লাহ মাস্টারকে যখন প্রকাশ্য হত্যা করা হল, তখন কোথায় ছিল গণতন্ত্র ও আইনের শাসন। যখন আমরা দেখলাম চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে তার বাসভবনে কাটা রাইফেল ঠেকিয়ে মাথায় গুলি করে মগজ ছিন্নভিন্ন করা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল আপনাদের গণতন্ত্র।
তিনি আরও বলেন, আর আজকে বিএনপি জামায়াতকে পাশে বসিয়ে গণতন্ত্রের ছবক দিচ্ছেন, পাঠশালা খুলে বসেছেন এই মানবতা হরণকারী, গণতন্ত্র হরণকারীদের সাথে নিয়ে। আমাদেরকে মানবতার ছবক দিতে হবে না। এদেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রমাণ করেছেন মায়ানমার সরকারের তাড়িয়ে দেওয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে প্রমাণ করেছেন বিশ্বে তিনি মানবতায় অনন্য।
হানিফ বলেন, আজকে আমরা দেখি বিএনপি খুব উজ্জীবিত। ভয় দেখাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক শক্তির ভয় দেখাচ্ছেন। আমাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চান, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চান। কাকে ভয় দেখান, আওয়ামী লীগের কর্মী আমরা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আমরা। জননেত্রীর সৈনিক আমরা। যে বঙ্গবন্ধু জীবনে কারও কাছে মাথা নত করে নাই, মৃত্যু ভয়ে ভীত হয় নাই। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যিনি মুক্তির জয়গান গেয়েছিলেন, তারই কন্যা শেখ হাসিনা কখনো কারও কাছে মাথা নত করবে না। সমস্ত দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক শক্তির ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবে।