‘ব্যাংকে টাকা নেই’ এমন গুজব ছড়ানোর অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২১ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার ব্যক্তির নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের পিয়ন।
গত সোমবার সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ‘দেশের ব্যাংকে টাকা নেই’ ফেসবুকে এমন একটি পোস্টে তোলপাড় শুরু হয়েছিলো। অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের পিয়ন সাইফুল ফেসবুক পোস্টে এমন গুজব ছড়ান। সেদিন প্রাথমিকভাবে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতেই তিনি এ কাজটি করেছিলেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা ও অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
গত সাত নভেম্বর সাইফুল তার ফেসবুকে লেখেন, ২ লাখ টাকা নিয়ে গেলাম ম্যানেজার সাহেবের কাছে, সোনালী ব্যাংকের সুপ্রীম কোর্ট শাখার ম্যানেজার বললেন দুই লাখ টাকা নেই ব্র্যাঞ্চে। এই হলো বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি …
সোনালী ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট শাখার ব্যবস্থাপক শেখ মজনুর রহমান জানান, সাইফুল নামের ওই ব্যক্তির একাউন্টে পাঁচ হাজার টাকা ছিল। অথচ তিনি টাকা তুলতে দুই লাখ টাকার চেক জমা দিয়েছিলেন। তাই তার চেকটি ফেরত দেয়া হয়। ঘটনার দিন অর্থাৎ সাত নভেম্বর এই শাখায় গ্রাহকদের লেনদেন মিটিয়েও ভল্টে এক কোটি টাকার ওপরে ছিল। তার ফেসবুকে করা পোস্ট ভাইরাল হলে ব্যাংকটির অনেক শাখার গ্রাহকরা টাকা তুলে নেবার বিষয়ে যোগাযোগ শুরু করেন।
তিনি জানান, অভিযুক্ত রুবেলের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছেন তারা। বিভাগীয় মামলা করার সুপারিশ করেছে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস।
অভিযুক্ত সাইফুল প্রচার মাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, তিনি মানসিক টেনশন’ থেকে ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছিল অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই। ফেসবুকে ভাইরাল হতে গিয়ে এরকম স্পর্শকাতর পোস্ট দেয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই দিন (৭ নভেম্বর) রাতেই পোস্টটি মুছে ফেলি। পরে ক্ষমা চেয়ে আরেকটি পোস্ট দেই। তবে এরই মধ্যে অফিসিয়ালি কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি।