সম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পতনে সংগঠিত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ মাইনুল হাসান।
আজ শনিবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
অপেশাদারিত্বের কারণেই পুলিশ ছাত্র-জনতার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আন্দোলনে অনেকে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিয়ে অভ্যুত্থান দমনের অপচেষ্টা করেছেন। সেগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থাও চলমান রয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর ৫০টি থানার মধ্যে ২২টি পুড়েছে, অনেক পুলিশ আহত- নিহত হয়েছে। যার জন্য এখনো অনেকটা আতঙ্কে আছে এ বাহিনী। তাই পুলিশ পূর্ণরূপে ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে।
এ সময় পুরো বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যারা অপেশাদার আচরণ করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ যারা অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।যেসব পুলিশ কর্মকর্তার ওপর আস্থার সংকট আছে তারা আর থাকবেন না। নতুন মুখ দেখতে পাবেন।
সাম্প্রতিক ঘটনায় হওয়া মামলায় ক্রিকেট তারকা ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের নাম কীভাবে এলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাইনুল হাসান বলেন, সহিংসতায় অনেকেই অনেকভাবে সহযোগিতা করেছেন। কেউ অর্থ দিয়ে, কেউ বা বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে উসকানি দিয়েছেন। এমন নানা বিষয়ে তাই মামলা হতেই পারে। আমরা তদন্তের সময় প্রমাণ সংগ্রহ করব।
যারা ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে ট্রাফিক সামলেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মাইনুল হাসান বলেন, যারা মনোবল বৃদ্ধিতে কাজ করেছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ। এখন ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করুন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় নিহতের বিষয়ে তিনি বলেন, ডিএমপিতে নিহত হয়েছেন ১৪ জন পুলিশ সদস্য। এ সময় আহত হয়েছেন পুলিশের ৪২৭ সদস্য। এ ছাড়া সাধারণ নাগরিক নিহতের সঠিক তথ্য যাচাই করার চেষ্টা চলছে।