গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, গাজীপুরের সব সুবিধাভোগীর ডাটাবেজ করা হচ্ছে। জানিনা এটি সম্পন্ন হয়েছে কিনা। সব তথ্যের সমাবেশ এবং সঠিক সিদ্ধান্ত যদি আমাদের হাতে তথ্য থাকে তাহলে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সঠিক তথ্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি বড় হাতিয়ার। যদি স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার জায়গায় যেতে চান তাহলে বটমাপ অ্যাপ্রোচে এগিয়ে যান। তাহলেই আমরা দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে পাবো।
সোমবার দুপরে গাজীপুরের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার অডিটরিয়ামে সমাজসেবা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ সোনারবাংলার ডিজিটাল ভার্সন হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ। আমরা ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দে স্মার্ট বাংলাদেশ হতে চাচ্ছি। তাই আমাদের স্মার্ট সমাজসেবা ও সিটিজেন হতে হবে। মানুষ স্মার্ট হলে তার কার্যক্রমসহ সব কিছু স্মার্ট হবে। সরকারের সবচেয়ে মানবিক উইন্ডো হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি। মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন আলোকিত সমাজ গঠন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুনুল করিমের সভাপতিত্বে ও গাজীপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোবারক হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সমাজসেবা অধিফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) আনোয়ারুল করিম, দুস্থ ও শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষন ইন্সটিটিউটের সুপার রফিকুল ইসলাম তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী, ভাষা শহীদ কলেজের অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মল্লিক, কালিয়াকৈর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, শ্রীপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনজুরুল ইসলাম, কালীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেনসহ অনেকে।
সমাজসেবা দিবসে জেলায় বিভিন্ন সোপানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে সমাজসেবায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, জন্মগত বৃদরোগ, ও থ্যালসিয়ামে আক্রান্ত ২২ জন রোগীর প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক, উপজেলা ও শহর সমাজসেবা কর্মকর্তাদেরকে ৭টি মোটরসাইকেল এবং মাঠ সুপারভাইজরদের ৫টি ট্যাব বিতরণ করা হয়।