জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, জিডিপির বিতর্কে না গিয়ে সরকারের উচিত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া।
বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বলার অপেক্ষা রাখে না দুনীতি দেশের অন্যতম বড় সমস্যা। এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই জরুরি। সন্ত্রাস ও সহিংসতা দেশের বড় ব্যাধি। দলমত নির্বিশেষে সবাই এক না হলে এগুলো দূর করা যাবে না।
রওশন এরশাদ বলেন, প্রবৃদ্ধি ৭.৫২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সামগ্রিক অর্থনীতি বিবেচনায় ইতিবাচক। মাথাপিছু জাতীয় আয় পূর্ববর্তী অর্থবছর থেকে ২৩৩ মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ২৮২৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়নে জিডিপি কতটা কার্যকর তা নিয়ে ইদানীং প্রশ্ন উঠেছে। শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়লেই দেশে উন্নয়নের জোয়ার বইবে তা বলা যাবে না। সাধারণ মানুষের জীবন মানে কতটুকু উন্নতি হয়েছে তা দেখতে হবে। প্রবৃদ্ধি বিতর্কে না গিয়ে সরকারের উচিত হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া। তাহলে বৈষম্য কমবে সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে। দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের রক্ষা করতে হলে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে কৃষক ন্যায্য মূল্য পায় ভোক্তারাও সহনীয় দামে খাদ্য শস্য কিনতে পারে।
বিরোধী দলীয় এ নেতা বলেন, করোনা পরিস্থিতির পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এসব বিষয়ে রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে যে সব কথা বলেছেন তা আমাদের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক। এগুলো আমাদের জন্যই নয় সারা বিশ্বের জন্যও প্রাসঙ্গিক। এগুলোকে মোকাবিলা করতে আমাদের সতর্কভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সব মহলের আপত্তির পরও সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ালে সব কিছুর খরচ বাড়বে। ফলে আরেক দফা বাড়বে দ্রব্যমূল্য। ক্ষতিগ্রস্ত হবে রপ্তানি খাত। এ সময় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম অপরিবর্তিত রাখা উচিত ছিল। আমি আশা করব, বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে সরকার।