তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। এই ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল আসামিসহ অনেককেই দ্রুততার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যাতে হয়, সে জন্য যা কিছু করা দরকার সবকিছুই করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে সীতাকুণ্ডের কুমিরায় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এখন মাঠে মারা গেছে। শুধু মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাঁদের নেতাদের মুখে আছে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আন্তর্জাতিক মহলের হাতে-পায়ে ধরে বিভিন্ন সময়ে তুলে ধরেছে। কিন্তু কোনো দেশ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সমর্থন করে নাই এবং সরকারকেও কেউ বলেনি যে নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে হবে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের আয়োজক হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত হোক, সেটিই আমরা চাই। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে, বিদেশিদের হাতে-পায়ে ধরে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়।
‘বিএনপিকে তো নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং বিদেশিরাও দিতে পারবে না। তারা আসলে নির্বাচনকে ভয় পায়। আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, এ সমস্ত না করে বাস্তবতা মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশের কথা বলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনসহ আমাদের মুক্তি আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিলেন, তাঁদের ছবি এবং ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশ করে তাদের তরুণদের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে।’
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান। উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভী এমপি, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি ও বিশ্ববিদ্যালয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবিরসহ অনেকে।