বঙ্গোপসাগরের উত্তর-পূর্বাংশে অবস্থিত সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কখনও কোনও ধরনের আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারের কাছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে করা মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ছোট দ্বীপ সেন্টমার্টিন দখল করতে চায়। আর প্রধান বিরোধীদল বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এটা বিক্রি করতে চায়। যে কারণে তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হবে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমি কেবল বলব যে, এটা সঠিক নয়। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি এবং আমরা সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে কখনই কোনও ধরনের আলোচনা করিনি। বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে আমরা মূল্যায়ন করি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পর্ককে আরও জোরদার করার চেষ্টা করছি।’
এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকাতে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ তৈরিতে জরুরি পদক্ষেপ চেয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে লেখা যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ছয় সদস্যের চিঠির বিষয়ে ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চান ওই সাংবাদিক।
এর জবাবে মিলার বলেন, ‘আমি চিঠিটি দেখিনি। আমি এটা সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে বিস্তারিত পর্যালোচনা করতে চাই।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২১ জুন) দুপুরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা। কারও কাছে এ দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। এখন যদি বলি সেন্টমার্টিন দ্বীপ কারও কাছে লিজ দেবো, তাহলে ক্ষমতা থাকার কোনও অসুবিধা নেই। আমার দ্বারা এটা হবে না। আমার দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেব না।
তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে বলা আছে যে একজন নির্বাচিত সরকার প্রধান আরেকজন নির্বাচিত সরকার প্রধান দ্বারাই প্রতিস্থাপিত হবে। এটা যেমন উচ্চ আদালতের রায়ে আছে, এটা আমাদের সংবিধানেও আছে।