দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, অটিস্টিক শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যাতে করে তারা মূলধারায় ফিরতে পারে সে লক্ষে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে বিশ্ব অটিজম দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনারা ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজএবিলিটিজ (নায়েম)- এর নাম শুনেছেন। সেটার ডিজাইন আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন। সেখান থেকে আমাদের সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রস্তুত করা হবে।
এখানে শুধুমাত্র অটিজম শিক্ষার্থীদের দেখাশোনা হবে তা না। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যারা প্রশিক্ষণ পাবেন তারা সেখান থেকে মাস্টার ট্রেইনার হবেন। তারা সারা দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের অটিস্টিক সন্তানদেরকে কীভাবে মূল ধারায় আনা যায় সে লক্ষে কাজ করবেন।
যাতে তারা সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করবেন।
নতুন শিক্ষাক্রমের ব্যাপারে এক অভিভাবকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এর আগের যে পদ্ধতি ছিলো তা এ ধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য আরো চাপের ছিলো। বর্তমানের যে পদ্ধতি এর মাধ্যমে আমাদের অটিজম শিশুরা আরো বেশি শিখতে পারবেন। তবে সেখানে প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অত্যান্ত প্রয়োজন। তবে আমরা বিশ্বাস করি যে এই নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে সাধারণ যে শিক্ষার্থীরা আছেন তারাও উপলব্ধি করতে পারবেন দলগত কাজ করলে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা মূল ধারায় ফিরতে পারবেন দ্রুত।
বিশ্ব অটিজম শুধু পালন নয় প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরে অটিস্টিক শিশুদের বিষয়ে সচেতনতা ও তাদের অধিকারের প্রশ্নে সবার দায়িত্বশীল হতে হবে।
যারা অটিস্টিক তাদেরকে আগে সামাজিকভাবে গুটিয়ে রাখা হতো। তবে এখন তাদেরকে নিয়ে আজ এ দিবস পালন এটা ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি।
আমাদের সন্তাদের মধ্যে যারা অটিস্টিক তাদের দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। তাদের চাহিদা আমাদের বুঝতে হবে, যোগ করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটা সময় দরিদ্র্য দেশ হিসেবে চিহ্নিত ছিলো এখন সেই দেশে অটিজমদের দায়িত্ব রাষ্ট্র নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণায়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।