অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা - দৈনিকশিক্ষা

অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য, আওয়ামী লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা

দৈনিক শিক্ষাডটকম, গাজীপুর |

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন এন্ড কলেজের অধ্যক্ষকে প্রতিষ্ঠানটির কথিত সাবেক ছাত্রদের দিয়ে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করে তদস্থলে আওয়ামী লীগ নেতাকে দায়িত্ব দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পেশাদার শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, স্থানীয় কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতা দীর্ঘ দিন যাবত প্রাতষ্ঠানটি থেকে অবৈধ উপায়ে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. ওয়াদুদুর রহমানের সচেতন ভূমিকার কারণে তারা সফল হয়নি। ফলে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানকে সরিয়ে তদস্থলে দলীয় অনুগত শিক্ষক স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।

এই ষড়যন্ত্রে ক্রীড়নকের ভূমিকায় ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান। তিনি টঙ্গীর ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব। অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানের বিরুদ্ধে তাদের সকল ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ ইতিপূর্বে কর্তৃপক্ষের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফলে এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বহিরাগত কথিত ছাত্রদের দিয়ে অযৌক্তিক অভিযোগে অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। বর্তমানে অননুমোদীতভাবেই অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন আলোচিত বিতর্কিত সহকারী প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান। অথচ ইতিপূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিদর্শন ও নিরীক্ষায় মুজিবুর রহমানের সহকারী শিক্ষক পদে ও পরবর্তীতে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে অবৈধভাবে নিয়োগের প্রমাণ পায়।

ওই প্রতিবেদনে মুজিবুর রহমানের গৃহীত সমুদয় সরকারি বেতন ভাতা ফেরতযোগ্য বলেও সুপারিশ করা হয়। যার স্মারক নং- ডিআইএ/গাজীপুর/২২১২-এস/ঢাকাঃ ২৪৯৪/৪, তারিখ -১৯/০২/২০১৩। সহকারী শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যার নিয়োগ প্রক্রিয়াই বৈধ নয় তিনি আবার একইভাবে অবৈধ প্রক্রিয়ায় অধ্যক্ষ পদে আসীন হওয়ারও চেষ্টা করছেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান বলেন, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলে আসছে। স্থানীয় স্বার্থান্বেষী একটি মহল আমার কারণে প্রতিষ্ঠানটি লুটপাটের সুযোগ না পেয়ে এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারাই বহিরাগত কথিত ছাত্রদের দিয়ে গত ১৯ আগস্ট আমাকে অফিসকক্ষে অবরুদ্ধ করে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করেছে। আমি অন্যায় ও বৈষম্যের শিকার।

এদিকে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমান বলেন, আমি কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত নই। বরং আমার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অধ্যক্ষকে অপসারণে আমার কোন ভূমিকা ছিল না। এটি ক্ষুব্ধ সাধারণ ছাত্রদের কাজ।

শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038440227508545