জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে কর্মসূচি পালনের সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৫ আগস্ট হামলার ঘটনায় গত বুধবার থানায় মামলা করা হয়।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তার পদত্যাগের দাবিতে ডাকা শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো. ইদ্রিছ আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. বজলুল করিম তালুকদারের বিরুদ্ধে কলেজ পরিচালনায় অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, আত্মীয়করণ ও অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে গত রোববার সকালে এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওই দিন অধ্যক্ষের লোকজন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মো. আব্দুল্লাহ আল শাফী লিপনসহ বেশ কয়েজন গুরুতর আহত হন। গত বুধবার তিনি বাদী হয়ে অধ্যক্ষকে প্রধান আসামি করে নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, রাসেল সরকার, গোলাম রব্বানী বানী, বুলবুল আহমেদ, মো. হযরত আলী, মো. বিট্টু মিয়া, মো. ইদ্রিছ আলী, মো. আনোয়ার হোসেন দুলাল ও মো. তোফাজ্জল তোফা। এর মধ্যে ইদ্রিছ আলীকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করেছে বকশীগঞ্জ থানা-পুলিশ। তিনি স্থানীয় পাখীমারা গ্রামের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খান বলেন, খাতেমুন মঈন মহিলা ডিগ্রি কলেজে বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় করা মামলায় মো. ইদ্রিছ আলী নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে আজ শনিবার দুপুরে জামালপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।