পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের চৈতা নেছারিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বিক্রমপুরী পাঁচ মাস ধরে কর্মস্থলে আসেন না। কিন্তু সরকারি কোষাগার থেকে তিনি প্রতি মাসেই বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন। মির্জাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিস ও স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই তিনি দিনের পর দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেছেন। এমন পরিস্থিতিতে মাদরাসার গভনিং বডির সহ-সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা নূর মোহাম্মদ খান অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিকার চেয়ে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরসহ উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন।
প্রাথমিকভাবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা ওসব অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে। ফলে কর্তৃপক্ষ অধ্যক্ষের বেতন-ভাতা বন্ধের নিদের্শ দিয়েছেন।
জানা যায়, অধ্যক্ষ গোপনে উৎকোচের বিনিময়ে গত ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে মাদরাসায় ভূয়া একজন লাইব্রেরীয়ান নিয়োগ করেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে ভূয়া নিয়োগ পাওয়া লাইব্রেরিয়ান মো. ছাইদুর রহমান বাদি হয়ে আদালতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৪১৪/২০।
এদিকে এ বিষয়ে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল মালেক বলেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ গত ৫ মাস পর্যন্ত মাদরাসায় অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙ্গে পেড়েছে। মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম সচল করার লক্ষে শিক্ষ মন্ডলী ও গভনিংবডির সভাপতি আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন। আমি মাদরাসাটি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সকলের সর্বাত্বক সহযোগিতা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রেজাউল কবীর বলেন, গভনিংবডির সহ-সভাপতি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মো. ওবায়দুর রহমান বিক্রমপুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গভনিংবডির সভাপতি সাইয়েমা হাসান বলেন, চলতি বছরের গত জানুয়ারি মাস থেকে আমি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এর আগে কি হয়েছে আমি জানি না। তবে যতটুকু শুনেছি মাদরাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বেতন ভাতা বন্ধ করা হয়েছে এবং সিনিয়র একজন সহকারী অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।