অধ্যক্ষ মাহবুব মোল্লাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট - দৈনিকশিক্ষা

কেরানির হিসাবে ২৪ কোটি টাকাঅধ্যক্ষ মাহবুব মোল্লাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

কলেজ ফান্ডের নামে একজন কেরানির হিসাবে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার এফডিআরের বৈধ উৎসের ব্যাখ্যা দিতে না পারা ও আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগে চার্জশিটভুক্ত আসামি হলেন ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, প্রিন্সিপাল ওবায়দুল্লাহ নয়ন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ আট জন।  এই মাহবুবুর রহমান মোল্লা ডেমরার সামশুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পলাতক সাবেক মন্ত্রী ওবয়াদুল কাদেরকে ব্যবহার করে গত ১৫ বছর দুর্নীতির আখড়া ও শিক্ষার্থী-অভিভাবককে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা কামানোর অভিযোগ রয়েছে। আবার তার সঙ্গে সেলিম ভুইয়ারও গোপন যোগযোগ রয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। 

মো. মাহবুবুর রহমান

যদিও ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ২০ নভেম্বর শুধু প্রধান হিসাব রক্ষক আকরাম মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলো দুদক। একজন কেরানির নামে কীভাবে প্রায় ২৪ কোটি টাকার এফডিআর থাকতে পারে, ঘটনার শুরু থেকেই বিষয়টি রহস্যজনক। 

আরো পড়ুন : 

যে কলেজ কেরাণির হিসাবে অবৈধ ২৪ কোটি টাকা

মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের অবৈধ ২৪ কোটি টাকা, দুদকের মামলা

তদন্ত করে আকরাম মিয়ার পাশাপাশি আসামি হিসেবে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, প্রিন্সিপাল মো. ওবায়দুল্লাহ নয়ন, ম্যানেজিং কমিটিরসহ সভাপতি আফরোজা বেগম, কমিটির অভিভাবক সদস্য মাহফুজা রহমান বীনা ও ওমর ফারুক, কলেজের সহকারী অধ্যাপক কানিজ ফাতিমা সাফিয়া ও মাতুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিন মিয়াকে যুক্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, মাহবুব মোল্লার নির্দেশে কলেজের হিসাবরক্ষক আকরাম মিয়ার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকা এফডিআর করে রাখা হয়। কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি হিসাবরক্ষক আকরাম। আকরাম মিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদক উপ-পরিচালক শারিকা ইসলাম। পরে তদন্তের দায়িত্ব পান সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ঈসমাইল।

দুদক জানায়, ড. মাহবুবুর রহমান কলেজের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আকরাম মিয়ার নামে বেসিক ব্যাংকের মাতুয়াইল শাখায় ২০২২ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত পাঁচটি এফডিআর হিসাব খোলা হয়। হিসাবগুলো হলো–৬১১৮-০১-০০১০৬৩৭, ৬১১৮-০১-০০১০৬৪২, ৬১১৮-০১-০০১০৬৫৮, ৬১১৮-০১-০০১০৬৬৩ ও ৬১১৮-০১ ০০১০৬৭৯। হিসাবগুলোতে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৪ টাকা স্থিতি রয়েছে। কলেজের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার নামে ব্যাংকে ওই টাকার এফডিআর হিসাব থাকার বিষয়টি অস্বাভাবিক এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে অর্জিত। এমনকি ওই টাকা আকরাম মিয়ার অন্যান্য হিসাব থেকেই স্থানান্তরিত হয়েছে।

আকরাম মিয়া ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১ জুন ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হিসাবরক্ষক পদে মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে যোগদান করেন। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি কলেজে যোগদানের পর থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সর্বসাকুল্যে বেতন পান ৪২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪৩ টাকা, যা বেসিক ব্যাংকের এফডিআর হিসাবে জমা হওয়া ওই টাকার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এমনকি অ্যাকাউন্টে টাকাগুলো রাখার বিষয়ে তিনি ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের গভর্নিং বডির কোনো অনুমোদন বা রেকর্ডপত্র প্রদান করতে পারেনি। তা ছাড়া কলেজের আয়ব্যয় খাতওয়ারি হিসাবভুক্ত করে কলেজের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখার বিধান রয়েছে, তা কোনো কর্মচারীর ব্যক্তিগত হিসেবে রাখার সুযোগ নেই।

২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধানমালা অনুসারে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে নিকটবর্তী কোনো তফসিলি ব্যাংকে হিসাব থাকবে, যা গভর্নিং বডি বা ক্ষেত্রমত সদস্যসচিবের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। আকরাম মিয়া এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা এবং অবৈধ উৎস গোপন করার অসৎ উদ্দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যম মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) এবং দণ্ডবিধি ১০৯, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মাহবুবুর রহমানের নির্দেশে ওই টাকা তার হিসাবে রাখা হয়েছে–এমন দাবি করেছিলেন আকরাম। 

 

ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ঘেরাও শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ঘেরাও শিক্ষার্থীদের ঘুষকাণ্ডে গণধোলাই খাওয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তা বললেন সব কয়টারে গু*লি কইরা মা*রমু - dainik shiksha ঘুষকাণ্ডে গণধোলাই খাওয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তা বললেন সব কয়টারে গু*লি কইরা মা*রমু কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাবি ছা*ত্রীর মৃত্যু: বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা - dainik shiksha জাবি ছা*ত্রীর মৃত্যু: বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা পাঁচ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার - dainik shiksha পাঁচ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার পবিপ্রবিতে র‍্যা*গিংয়ে হাসপাতালে ৩ শিক্ষার্থী, বহি*স্কার ৭ - dainik shiksha পবিপ্রবিতে র‍্যা*গিংয়ে হাসপাতালে ৩ শিক্ষার্থী, বহি*স্কার ৭ কওমি-আলিয়া মাদ্রাসার ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে - dainik shiksha কওমি-আলিয়া মাদ্রাসার ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0049800872802734