সম্প্রতি সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জন্য ব্যাংক ঋণে মধ্যস্থতা করতে অনিয়মের আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ ওঠে বিবিসি চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্পের বিরুদ্ধে। এরই জেরে আজ শুক্রবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। তবে, এ বিষয়ে মুখ খোলেননি বরিস জনসন। খবর বিবিসি।
এক তদন্ত প্রতিবেদনে তার এই অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। কমিশনার ফর পাবলিক অ্যাপয়েন্টমেন্টের ওই তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েছেন অ্যাডাম হেপিনস্টল কেসি নামের একজন আইনজীবী।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে পদত্যাগ করছেন উল্লেখ করে রিচার্ড বলেছেন, সচেতনভাবে এই অনিয়ম তিনি করেননি। এটি ছিল একটি ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, (উদ্ভূত পরিস্থিতিতে) আমার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই পদে থাকলে তা বিভ্রান্তিকর হতে পারে।
বিবিসির প্রতিবেদন মতে, নিজের প্রভাব খাটিয়ে ও সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে বরিস জনসনকে ৮ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা) ব্যাংক ঋণ পেতে সহযোগিতা করেছিলেন শার্প। এটা তিনি করেছিলেন বিবিসির চেয়ারম্যান পদে বরিসের সুপারিশ লাভের মাত্র এক সপ্তাহ আগে।
জানা যায়, বিবিসি যখন কোনো চেয়ারম্যান নিয়োগ করে, তখন তার মনোনয়ন আসে সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু একটি বোর্ডের কাছে ওই ব্যক্তিকে সমস্ত তথ্য জানাতে হয়। সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট করে জানাতে হয়। শার্প যখন চেয়ারম্যান হন, তখন তিনি ঋণের বিষয়টি সম্পূর্ণ আড়ালে রেখেছিলেন। আর সেটিই তার দোষ বলে মনে করা হচ্ছে। যে কারণে, বিরোধীরা দাবি তুলেছিল, যত দ্রুত সম্ভব শার্পকে পদত্যাগ করতে হবে।