নওগাঁর সাপাহারে মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লিপের টাকা নিজের ইচ্ছামতো খরচ, স্কুলের বই বিক্রি, স্কুলের আম বিক্রিরে অভিযোগ তুলেছিলেন একই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। গত রোববার সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে এসব অভিযোগ তদন্ত করেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী।
গত ৬ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে একটি লিখিত আবেদন করেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. রহিমুদ্দীন। তিনি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনে অনিয়ম, ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়ে নিজের খেয়ালখুশি মতো কার্যক্রম পরিচালনা করা, বই বিক্রি, আম বিক্রি, ম্যানেজিং কমিটিতে না জানিয়ে স্লিপের টাকা নিজ মনমতো খরচ করার অভিযোগ তুলেছিলেন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. রহিমুদ্দীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ে এসে আমার করা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে গেছেন। তিনি, কমিটি সদস্য, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আমাকে আশস্ত করেছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদ বুলু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার তদন্ত করতে এসেছিলেন। তিনি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকদের কাছে থেকে আলাদাভাবে লিখিত মতামত নিয়েছেন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনে প্রধান শিক্ষককে বদলি করা হতে পারে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার চৌধুরীর দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।