চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া চার সহস্রাধিক নতুন শিক্ষক অবশেষে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। তারা সবাই বিভিন্ন মাদরাসায় সহকারী শিক্ষক ও প্রভাষক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। চতুর্থ ধাপে সুপারিশপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষকদের মধ্যে তারাই প্রথম এমপিওভুক্ত হয়ে ইনডেস্ক পেলেন। আগামী নভেম্বর মাসে তারা প্রথমবারের মতো মান্থলি পেমেন্টে অর্ডারের (এমপিও) আর্থিক সুবিধা পাবেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে নতুন নিয়োগ পাওয়া স্কুল-কলেজ এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ১৬ হাজার সহকারী শিক্ষক-প্রভাষক এখনো এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। মাদরাসায় নতুন নিয়োগ পাওয়া ৬ হাজার ৬৩ জন নতুন শিক্ষক-প্রভাষকও এমপিওর অপেক্ষায় আছেন। সে হিসেবে সাড়ে ২২ হাজার নতুন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হওয়ার প্রহর গুণছেন।
চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করা মোট ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থীকে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে নিয়োগ সুপারিশ করেছিলো এনটিআরসিএ। যাদের মধ্যে বিভিন্ন মাদরাসায় সহকারী শিক্ষক-প্রভাষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছিলেন ১০ হাজার ৬৪৯ নিবন্ধিত প্রার্থী।
মাদরাসার এমপিও কমিটির সদস্য সচিব ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ শাখার সহকারী পরিচালক মো. লুৎফর রহমান গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, চলতি অক্টোবর মাসের এমপিওর আবেদন যাচাই বাছাই করে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন এমপিওভুক্ত ৪ হাজার ৯২৫ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষক-প্রভাষক ও ৩৩৯ জন কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারী।
এমপিওভুক্ত নতুন শিক্ষকদের মধ্যে প্রায় সবাই এনটিআরসিএর মাধ্যমে নতুন নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত বলেও দৈনিক আমাদের বার্তাকে নিশ্চিত করেন মাদরাসার এমপিও কমিটির সদস্য সচিব।
বর্তমানে দেশে মোট মাদরাসার সংখ্যা ৯ হাজার ১০২টি। এর মধ্যে এমপিওভুক্ত মাদরাসার সংখ্যা ৮ হাজার ২২৯টি। মাদরাসার এমপিও প্রক্রিয়াকরণ সফটওয়্যার মেমিসের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পর্যন্ত এসব মাদরাসার ১ লাখ ৩১ হাজার ৮২৮ জন শিক্ষক ও ৩৯ হাজার ১৮৮ জন কর্মচারী এমপিও সুবিধা পাচ্ছেন।এদিকে বিভিন্ন এমপিওভুক্ত কলেজ ও স্কুলে ১৩ হাজার ৭০৫ নতুন সহকারী শিক্ষক ও প্রভাষক এখনো এমপিওভুক্ত হতে পারেননি। তাদের অনেকেই এমপিওর আবেদন করেছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিতব্য এমপিও কমিটির সভায় যাচাই বাছাই করে তাদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ গণবিজ্ঞপিতে নতুন নিয়োগ পাওয়া ২ হাজার ৭২০ জন শিক্ষক-প্রভাষকও এখনো এমপিওভুক্ত হতে পারেননি।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ সুপারিশ করার পর কারিগরির এমপিও কমিটির ২৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় মোট ৬৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নতুন নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষক-প্রভাষক বা ট্রেড ইনসট্রাক্টরদের কেউ নেই।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।