ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় প্রকাশ করেছেন আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পদ্ধতির পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে। সরকার এখন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে কোটার সংস্কার করতে পারে। অবিলম্বে কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করা উচিত সরকারের। আর সব মিলিয়ে ২০ শতাংশের বেশি কোটা রাখা কোনোভাবেই উচিত হবে না। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। শনিবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তো কোটা বাতিল চায়নি। তারা কোটা সংস্কার চেয়েছে। কোটা তো সংস্কার করাই উচিত। কোটা কমাতেই হবে আমাদের। সরকারি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে যদি ৫৬ শতাংশই কোটা রাখা হয় তাহলে সাধারণ মেধাবীদের ভাগ্যে আর কী রইল? আর মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ থাকা অনুচিত। এটা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হতে পারে। ১০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য আর ১০ শতাংশ অন্য কোটা- সব মিলিয়ে চাকরিতে সর্বোচ্চ মোট ২০ শতাংশ কোটা থাকতে পারে, এর বেশি থাকা উচিত নয়।
এ শিক্ষাবিদ বলেন, বিচার বিভাগের নির্দেশনা মেনে অনতিবিলম্বে কোটা সংস্কার বিষয়ে একটা প্রজ্ঞাপন জারি করা উচিত সরকারের। তাহলে চলমান পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে। ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা বাদ দিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করছে। এ আন্দোলন কাম্য নয়। ছাত্র আন্দোলনের কারণে শুধু রাজধানী নয় দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুর্যোগ নেমে এসেছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রছাত্রীদের ওপর কেউ অত্যাচার করুক, সেটিও চাই না। আমি চাই কোটা থাকুক কিন্তু সেটি কোনোভাবেই ২০ শতাংশের বেশি নয়। কারণ, কোটা সংস্কার দাবিতে দিনের পর দিন লেখাপড়া বিঘ্নিত হতে পারে না। অনতিবিলম্বে প্রজ্ঞাপন দিয়ে কোটা নিয়ে চলমান আন্দোলনের সমাধান হওয়া দরকার বলে মনে করি।