অবৈধ পদোন্নতি বাতিলসহ পাঁচ দাবি জানিয়েছে স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তারা। শনিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনি হলে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
লিখিত বক্তব্যে স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা জানান, ক্যাডার সার্ভিস গঠন হওয়ার পর থেকে বিগত প্রায় ৪০ বছর ধরে আমরা দেশের মানুষকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে স্বাস্থ্যসেবা করে আসছি এবং শত সীমাবদ্ধতা, বৈষম্য ও অপ্রাপ্তি সত্ত্বেও আমরা দেশের জনগণকে সেবা দিতে কখনো পিছপা হইনি।
কিন্তু বিগত কিছু বছর আমরা উদ্বেগের সঙ্গে খেয়াল করছি, সরকারি চাকরিবিধির গুরুতর লঙ্ঘন করে ক্যাডার পদগুলোতে ভিন্ন নিয়োগ বিধির আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাডহক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পদায়ন ও পদোন্নতি দেয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু দুষ্কৃতকারী কর্মকর্তা।
চাকরিবিধির গুরুতর লঙ্ঘন হওয়ায় আমরা লিখিতভাবে আমাদের আপত্তি জানিয়ে প্রক্রিয়াগতভাবে আগাতে থাকি। কিন্তু উক্ত শাখাসমূহের কর্মকর্তাদের অনিয়ম করা হতে থামানো যায়নি, বরঞ্চ এই অন্যায়ের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। অদ্যাবধি প্রায় সহস্রাধিক ভুয়া পদোন্নতি, জনপ্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে প্রায় ৫ শতাধিক ভূয়া পদায়ন, ক্যাডার কর্মকর্তাকে অ্যাডহকদের অধীনস্ত করা ইত্যাদি চরম আকার ধারণ করে।
এই নানা অনিয়মের কারণে ৩৫ হাজার ক্যাডার কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ। আমরা আমরা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, সরকারি কর্মকমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব অনিয়ম লিখিতভাবে জমা দিয়েছি।
তারা আরো জানান, ক্যাডারকে অ্যাডহক কর্মকর্তাদের অধীনস্ত করার রেওয়াজ কোনো আইন ও বিধিতেই সমর্থন করে না, শতভাগ অবৈধ। এই অন্যায় ও জুলুম আমরা মানি না।
স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের দাবিগুলো হলো-সব প্রকার অবৈধভাবে স্হায়ীকরণ বাতিল করতে হবে। সব ধরনের অবৈধ পদোন্নতি বাতিল করতে হবে, সব ধরনের অবৈধ পদায়ন বাতিল করতে হবে, চলমান প্রমার্জনার সব প্রক্রিয়া স্থায়ী আদেশভাবে বাতিল ঘোষণা করতে হবে, এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে বিধিমোতাবেক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।