অভিবাসন নীতি নিয়ে কোয়ালিশন জোটের সঙ্গে বিরোধের জেরে নেদারল্যান্ডসের সরকার ভেঙে গেছে। গতকাল শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট এমনটি জানান।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার পতনের কারণে নতুন করে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আগামী নভেম্বরে এ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। রুটের জোট সরকার ভেঙে গেলেও নতুন সরকার আসা পর্যন্ত তারাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবে।
রুটের রক্ষণশীল ভিভিডি পার্টি নেদারল্যান্ডসে আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিলে চার দলীয় জোটের দুই দল তা নাকচ করলে এ সংকটের শুরু হয়। নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী জানান, চারদলের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় সরকার ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিবাসন নীতি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলগুলোর ভিন্ন মত রয়েছে একদম তা পরিষ্কার। এই ভিন্নতা যেহেতু নিরসনযোগ্য নয়, আমি রাজার কাছে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ জমা দিতে চাইছি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধ শরণার্থীদের স্বজনদের নেদারল্যান্ডসে প্রবেশ কমাতে চাইছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। এ প্রস্তাবে সমর্থন চাইলে অপেক্ষাকৃত ছোট দল ক্রিস্টিয়ান ইউনিয়ন ও লিবারেল ডি৬৬ তা মানেনি।
গত বছর নেদারল্যান্ডসে আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন এক তৃতীয়াংশ বেড়ে ৪৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এ বছর এ সংখ্যা বেড়ে ৭০ হাজারের মতো হতে পারে।
৫৬ বছর বয়সী রুট নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন বর্তমান জোট সরকার ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে। ২০১০ সালের অক্টোবরে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন রুট। বর্তমান সরকার নিয়ে টানা চতুর্থবার সরকারপ্রধান তিনি।